মানিকঞ্জ সংবাদদাতা; অপমান সইতে না পেরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলো অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী আফরোজা আক্তার (১৫)। এ ঘটনায় আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে মামলা হয়েছে। পুলিশ আটক করেছে প্রেমিক অয়ন আলীকে (১৭)। পলাতক রয়েছে রতন ও তন্ময় নামের আরও দুই যুবক।

  • ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার দুপুরে মানিকঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার কলিয়া ইউনিয়নের পাঁচ কলিয়া গ্রামে। লাশ উদ্ধার করে গতকাল শনিবার ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মামলার বাদি হয়েছেন আফরোজার চাচা কাজী নাজিজুদ্দিন। মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, গত বৃহস্পতিবার বিকালে পূর্ব পরিচয়ে সুত্রধরে আফরোজা ও অয়ন আলী মটোরসাইকেলে বেড়াতে বের হয়। বিকাল ৩টার দিকে তিল্লী-দৌলতপুর সড়কের ঘড়িয়াল নামক স্থানে উদিয়মান যুবসংঘ ক্লাব ঘরের সামনে তাদের মটোরসাইকেল থামায় রতন (৩০) ও তন্ময়সহ (২৮) আরও কয়েক যুবক। তারা আফরোজা ও অয়ন আলীকে ক্লাব ঘরে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আটকে রাখে। পরে নাজিমুদ্দিনের বাড়িতে পৌঁছে দেয়। এ সময় গ্রামের বিশিষ্ট লোকজনের সামনে আফরোজাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া হয় অয়নকে। কিন্তু অয়ন রাজি হয়নি। পরে আফরোজা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে সন্ধ্যার দিকে দৌলতপুর থানা পুলিশ আফরোজার লাশ উদ্ধার করে।

  • এদিকে আটক অয়ন সাংবাদিকদের বলেন, ক্লাব ঘরে তাকে এবং আফরোজাকে অটকে রেখে রতন, তন্ময়সহ আরও কয়েকজ প্রথমে মারধর করে। পরে ভয় দেখিয়ে তার সামনেই আফরোজাকে ধর্ষণ করা হয়। যে কারণে বিয়ের প্রস্তাব দিলেও সে রাজি হয়নি।

যোগাযোগ করা হলে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম জানান মামলার অভিযোগ অনুযায়ী অয়নকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তিনি জানান, অয়ন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রতন ও তন্ময়ের বিরুদ্ধে আফরোজাকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। তখন সে অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমাদের বাণী ডট কম/২৭  জুন ২০২০/পিপিএম 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।