নারায়নগঞ্জের সিদ্দিরগঞ্জের মেসার্স ম্যাক্স ইলেক্ট্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ এ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের জোরপূর্বক অভিযানের অভিযোগ করেছে ম্যাক্স ইলেক্ট্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: বেলায়েত হোসেন।

আমাদের বাণীতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তীতে তিনি অভিযোগ করে বলেন,  আমি দীর্ঘ দিন যাবত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সকল আইন কানুন মেনে যথাযথ শুল্ক-করাদী পরিশোধ করে ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করে আসতেছি। আমার ব্যবসায়িক সুনামে ঈর্ষান্বিত হয়ে কতিপয় তৃতীয় পক্ষের মিথ্যা তথ্যের উপর ভিত্তি করে গত ০২-১০-১৯ ইং তারিখ রোজ বুধবার বিকাল আনুমানিক ৪:৪৫ মিনিট থেকে দিবাগত রাত ১:০০ টা পর্যন্ত নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অবস্থিত আমর প্রতিষ্ঠানে নারায়নগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের প্রায় ১২ থেকে ১৫ জনের একটি টিম অতর্কিত অভিযান চালায়। আমার প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরত শ্রমিকরা অভিযানের কারন সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা আমার ৮ জন শ্রমিককে হ্যান্ডক্যাপ পরিয়ে বসিয়ে রাখে এবং বলে যে আমার এখানে নাকি অবৈধ পন্য-সামগ্রী মজুত করে রাখা আছে। অভিযান চালিয়ে তারা আমার প্রতিষ্ঠানের বৈধ পথে, বৈধভাবে আমাদানি করা, যথাযথ শুল্কায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ করকারের সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর থেকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় যথাযথ অনুমোদন নিয়ে আমদানি করা বিভিন্ন ধরনের ঝড়হু, ঝধসংঁহম ঞঠ সহ অন্যান্য ইলেক্ট্রোনিক্স সামগ্রী ও প্রসাধনী সামগ্রীগুলোকে ‘অবৈধ ও নকল পন্য’ তকমা লাগিয়ে জব্দ করে রাখে।

বিজ্ঞপ্তীতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, উক্ত অভিযানের সময় তারা আমার প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে দেয় এবং আমার প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদেরকে থানা হাজতে প্রেরণ করে রাখে। অভিযান পরিচালনার সময় আমার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা পন্যগুলোর স্বপক্ষে বৈধ কাগজ পত্রাদী দেখাতে গেলে আমাদেরকে কোনো প্রকারের আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ দেয়া হয়নি। এখানে উল্লেখ্য যে, আমার প্রতিষ্ঠানের প্রশাধনী সমাগ্রীর ব্যাপারে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর গত ১৮/০৩/১৫ইং তারিখে নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি ফৌজদারী মামলা দায়ের করেন যার নাম্বার হলো-২৭ (৩) ১৫। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালতে আমার মালামালের স্বপক্ষে যাবতীয় দলিল পত্রাদী উপস্থাপন করি। বিজ্ঞ আদালত সমস্ত দলিলাদি পর্যালোচনা করে আমার মালামালের সঠিকতা ও বৈধতা পেয়ে বিজ্ঞ আদালত আমার কারখানাটি খুলে দেওয়ার আদেশ প্রদান করেন। বিজ্ঞ আদালতে মামলাটি এখনও চলমান অবস্থায় আছে।

তাছাড়া উক্ত অভিযানে কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রাট উপস্থিত ছিল না যাহা প্রশ্নবিদ্ধ। আমার প্রতিষ্ঠানের মজুদ পণ্যের আনুমানিক মূল্য প্রায় ১২.০০ কোটি টাকা কিন্তু জেলা পুলিশের পক্ষ্য থেকে বিভিন্ন মিডিয়ায় তা শত কোটি টাকার উর্দ্ধে প্রচার করা হয়েছে, যা আদো সত্য নয়। এছাড়া অভিযানের ২৪ ঘন্টা পার হয়ে যাওয়ার পরও অদ্যাবধী আমাদের প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদেরকে আদালতে সোপর্দ না করে থানা হাজতে রেখে জোর করে স্বীকার উক্তি আদায়ের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

এমতাবস্থায়, আমার প্রতিষ্ঠান দুটির পক্ষে বৈধভাবে ব্যবসা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

তবে এ ব্যাপারে নারায়নগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার্স ইনচার্জ এর মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।