‘আব্বু আম্মু আমি বাঁচতে চাই’ এই হাহাকার বাঁচার আকুতি নিয়ে ব্রেইন ক্যান্সারে আক্রান্ত ৬ বছরের ছোট্ট স্কুল ছাত্র শিশু “শায়ান”। রাজধানীর কাটাবন ওয়েস্টার্ন গ্রামার স্কুলের প্লে গ্রুপের শিক্ষার্থী। দীর্ঘ ১৩ মাস যাবৎ চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী বর্তমানে ইন্ডিয়ার চেন্নাইয়ে অবস্থিত ‘গ্লোবাল হসপটিলা অ্যান্ড হেলথ সিটি’ তে ভর্তিরত অবস্থায় আছে।

ডাক্তার জানিয়েছেন শায়ানে  চিকিৎসা বাবদ কমপক্ষে আরো ২০ লক্ষ টাকার বেশী খরচ হবে। যা তার পরিবারের পক্ষে বহন করা প্রায়ই অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

এই সদা হাস্যজ্জ্বল স্কুল ছাত্র শায়ানের বাবা  মাহমুদউজজামান ছেলেকে বাঁচানোর আকুতি জানিয়ে সমাজের বিত্তবান মানুষের সাহায্যের হাত বাড়ানোর আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, আমাদের একটাই ছেলে।  ২০১৮ সালে কাটাবন ওয়েস্টার্ন গ্রামার স্কুলে ভর্তি করাই। ভালই যাচ্ছিল আমাদের তিন জনের ছোট সংসার! তার পর ১৩ই এপ্রিল সব এলোমেলো হয়ে গেল। প্রায় দশ দিন ধরে মাথা ব্যাথা-বমী, ডাক্তার রা কিছুই ধরতে পারছিলেন না। তাই আমরা নিজেদের বুদ্ধিতে ব্রেইন সিটি স্ক্যানকরাই।  এর পরেই ছেলেকে বাঁচানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাই। বাংলাদেশের ডাক্তাররা বললেন বাঁচবে ২-৩ মাস। তাই উপায় না দেখে চলে আসলাম ইন্ডিয়া মিনাক্সী মিশন হসপিটালে। এখান থেকেই ওকে বাঁচানোর যুদ্ধ শুরু। এমআর আই  থেকে শুরু এরপর রেডিয়েশনের প্লেন, প্রতিদিন ২৫ মিনিট করে ৩০ দিন চলল রেডিয়েশন, এরপর ৪৫ দিন পর থেকে ক্যামো থেরাপি গত সব পরীক্ষাতেই ওর ক্যান্সার নেগেটিভ আসছে । ওর মূল সমস্যা হচ্ছে মাথার সি এস এফ ফ্লুইড ড্রেইনিং হচ্ছে না। এই লাইন একবার লাগালে ৭-৮ বছর চলে!কিন্ত আমার দূর্ভাগ্য। গত এক বছরে দুইবার লাইন লাগিয়েছি। কিন্ত রেডিয়েশন ও ক্যামোর জন্য দুইবারই ইনফেকশন হয় এবং খুলে ফেলতে হয়। এখন আমি ছেলেকে নিয়ে চেন্নাই গ্লোবালে আছি। উন্নত চিকৎসার জন্য এখানে আসা ছারা আর কোন উপায় ছিল না। আর পার ছি না। অনেক খরচ। গত এক বছরে সব শেষ!মাত্র বিশ হাজার রূপি অবশিষ্ট আছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটা খোলা চিঠি দিয়েছি। ছেলেকে বাঁচানোর জন্য আমি সমাজের সুহৃদয়াবান ব্যক্তির কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।

আসুন সকলেই আমাদের সহযোগীতার হাতকে বাড়িয়ে দেই। আমার আপনার এই মূল্যবান সহযোগীতা পারে ছোট শিশু “শায়ানের” জীবন ফিরিয়ে দিতে। আমার আপনার সহযোগিতায় শায়ান আবার হাসিমুখে স্কুলে যাবে, খেলবে গাইবে সবাইকে মাতিয়ে বেড়াবে।

যেভাবে আর্থিক সহযোগিতা পাঠাতে পারবেন, মাহমুদুজ্জামান দিপু (শায়ানের বাবা) +৯১৯১৫৯৮৫৭৯৬৮(ভারত), জামাল উদ্দিন মানিক (শায়ানের চাচা) ০১৭১৩০৯০৮৬৯।

টাকা পাঠানোর ঠিকানা

আপনার আর্থিক সাহায্য পাঠাতে পারেন সাউথইস্ট ব্যাংকের মাধ্যমে। একাউন্ট, সুলতানা আক্তার, নাম্বার ০০১২১০০০০১১৪৭, সাউথইস্ট ব্যাংক টঙ্গী শাখা। এছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে এই সাহায্য পাঠাতে পারবেন, বিকাশ (পার্সোনাল)-০১৭১০৮৯৬৭৪১, ০১৬২১৯৮৯০২২ রকেট (পার্সোনাল)- ০১৬৮৯৫২৮৭০৬, ০১৬২১৯৮৯০১১।

আমাদের বাণী-আ.আ.হ/মৃধা

[wpdevart_like_box profile_id=”https://www.facebook.com/amaderbanicom-284130558933259/” connections=”show” width=”300″ height=”550″ header=”small” cover_photo=”show” locale=”en_US”]

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।