কাতার বিশ্বকাপের আগে তিনি ছিলেন সম্ভাবনাময়ী একজন মিডফিল্ডার। বিশ্বকাপ শেষ হতে হতেই তিনি এখন সোনার খনি। যেই খনিকে বেনফিকা মাত্র ৭ মাস আগেই কিনেছিল মাত্র ১২৬ কোটি টাকা দিয়ে, সেই একই খনি তারা বিক্রি করেছে প্রায় ১৪০০ কোটি টাকা দিয়ে।
আর্জেন্টিনার এনসো ফার্নান্দেজের জীবনে কাতার বিশ্বকাপের পরে এসেছে বড় পরিবর্তন।মূল একাদশে জায়গা পাবেন কিনা সেই প্রশ্ন থেকে বিশ্বকাপের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা এনসো বেনফিকাকেও সুযোগ করে দিয়েছেন বড় এক ফাটকা খেলার।
গত বছর জুন মাসেই ক্লাব মৌসুম শুরু হওয়ার আগে এনসোকে আর্জেন্টিনার ক্লাব রিভারপ্লেট থেকে ১০ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে কিনেছিল পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকা। ইউরোপের ফুটবলে বেনফিকা বেশ পরিচিত নাম, পরপর দুইবার ইউরোপিয়ান কাপ (বর্তমানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ) জিতেছিল তারা।
সেই ক্লাবের হয়ে এবারের মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আলো ছড়িয়েছেন এনসো। পুরস্কার হিসেবে লিওনেল স্কালোনির বিশ্বকাপ দলেও জায়গা করে নেন তিনি। তবে মূল একাদশে জায়গা নিশ্চিত ছিলো না এনসোর।
সৌদি আরবের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার প্রথম ম্যাচেই হার শুধু আর্জেন্টিনার দলের ভাগ্যই ঘুরিয়ে দেয়নি, সাথে ঘুরিয়ে দিয়েছে এনসো ফার্নান্দেজের জীবনের চাকাও। সেই যে মেক্সিকো ম্যাচে একাদশে সুযোগ পেলেন, এরপর আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের পেছনে রেখেছেন বিরাট অবদান।
স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বকাপে ভালো খেলা তরুণ খেলোয়াড়দের উপর নজর রাখে ইউরোপের বড় ক্লাবগুলো। সেখানে এনসো ফার্নান্দেজ শুধু ভালোই খেলেননি, জিতেছেন সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কারও, সাথে বিশ্বকাপের আগে বেনফিকার হয়ে তার দুর্দান্ত ফর্ম। ব্যস, আর যায় কোথায়!
একলাফে এনসোর দাম বেড়ে ছুঁয়েছে আকাশ। বেনফিকা তার চুক্তিতে ‘বাই আউট ক্লজ’ রেখেছিল ১১২ মিলিয়ন পাউন্ড। ইংলিশ ক্লাব চেলসি এনসোকে এই মূল্য দিয়েই কিনে নিয়েছে!
তাই বেনফিকার ভাগ্যেও যে এই বড় দাওটা লেখা ছিলো, সেজন্য তারা এনসো ফার্নান্দেজকে নমনম করতেই পারে। ১২৬ কোটি টাকা খরচ করে কেনা খেলোয়াড়কে ৭ মাসের মাথায় বিক্রি করে তারা পেয়েছে প্রায় ১৪০০ কোটি টাকা।