বয়সের সাথে কবিতা পাঠ,আবৃত্তির মিল থাকা বাঞ্চনীয়। অনেক বড়দের দেখি শিশুদের মতো কবিতা পড়ে।কন্ঠ,উপস্থাপন,বচনভঙ্গি,শব্দের উচ্চারণ, স্বরের উঠা নামা,অভিনয় সব মিলিয়ে কবির কবিতাকে স্রোতা,পাঠকের কাছে গ্রহন যোগ্য করে তোলে বাচিক শিল্পী। বাচিক শিল্পীর কন্ঠেই কবিতা শিল্পীত রুপ।

কবিতা সারমর্ম, বিষয়,উদ্দেশ্য,বিধেয়,বক্তব্য উপসংহার,কবিতার,গঠন,অন্তরা,মুখরা,অন্তমিল,ছন্দমিল,নামতা গুনা,অক্ষর বৃত্ত, মাত্রা বৃত্ত,স্বরবৃত্ত,ষষ্টক,অষ্টক,হিসাব,নিকাশ ইত্যাদি দুর্বল হলেও, আবৃতি শিল্পী,বাচিক শিল্পীর গুনে প্রতিভায় কবিতা হয়ে উঠে প্রাণবন্ত।কবিতা পায় পূর্নতা। আর কবির কবিতা যদি হয় পোক্ত আবৃতি যোগ্য তাহলেতো সে কবিতা অমুল্য সম্পদ হয়ে যায়।

আমার বা আমার মতো কেউ আছেন তারা নিজেরাই ভাবি আমরা কবিতা পাঠ দারুন হচ্ছে।আসলে কি তাই? আমার জন্মভূমি বাংলাদেশ আর কলকাতার কয়েক জনের আবৃতি যখন শুনি নিজেই লজ্জিত হই নিজের কাছে। মন্ত্র মুগ্ধ হয়ে শুনি কবিতার আবৃত্তি।

কন্ঠ কিন্তু ঐশ্বরিক দান, সেই কন্ঠ যখন ওস্তাদের হাতে পড়ে তখন, এর পর গীতিকার,সুরাকার,কম্পোজার,এখন আবার ভিডিও যুগে তাই এর সাথে পরিচালক অভিনেতা অভিনেত্রী,নাচের শিল্পী,কোরিওগ্রাফি,ফটোগ্রাফি ইত্যাদীর সংমিশ্রণে একজন শিল্পী,কিছুটা গীতিকারের জনপ্রিয়তা আসে।গান যেমন চাই সারগাম সাধনা,তেমনি আবৃতিতে কন্ঠের অনুশীলন,শুদ্ধ উচ্চারণ।

কবিতায় বাচিক শিল্পী তার কন্ঠের কারুকাজে কিছু আবহ সঙ্গীতে অডিও আর শর্ট ফিল্মের মতো যদি ভিডিও করা যায়, কবিতা আর কবি স্বীকৃতি পেতে পারে,জনপ্রিয় হতে পারে।কেননা এখন আর আগের মতো কবিতার বই পড়েনা।(বই মেলায় যদিও কেউ কবিতার বই কিনে তারা সেল্ফি তুলে কাব্য প্রেমির ভাব দেখায়।) কবিতার বই কবিকে নিজের টাকায় করতে হয়। দু একজন ব্যাতিক্রম, কেউ আবার পুশিং সেলের মহাজন।কবিতার বই বিলি হয় উপহার নামে।

আজকাল কতিপয় আবার ফেসবুকে লিখিয়েদের এক চোট নিচ্চেন বটে। অনেকে ফেসবুক দিয়ে লেখা শুরু করেছেন,তাদের চিনি বৈকি।সংগঠনতো আমরাও করি।বয়স ও পঞ্চাশ ছোবে কয়েক বছরেই।

ইদানিং কিন্তু বইয়ের চেয়ে ফেসবুকেই সিঙ্গেল কবিতার কাটতি বেশি।লাইক,কমেন্ট শেয়ারে। যাক, কাউকে ছোট বা আঘাত দেবার জন্য লেখা নয়। ফেসবুকে থাকি,যা মনে আসে তাই লিখি। ডোন্ট মাইন্ড। আমি কিন্তু আবৃতি করিনা,কবিতা পড়ি । আপনি কি পড়েন নাকি আবৃতি করেন। পড়লে যে কোন ভাবে পড়লেই হয়।সামান্য শ্রুতি মধুর হলে ভালো।আর যদি আবৃতি করেন তাহলে বাচিক শিল্পীর প্রতিটি কলাকৌশল জানা জরুরী।যার প্রথমে আসে উচ্চারণ,কন্ঠশীলন।

আর আমার মতে সতের কোটি বাংলাদেশের মানুষ কবি।এদেশের প্রকৃতি,দেশ প্রেম,ভালোবাসা,মায়া,মমতা,মাতৃষার জন্য, দেশের স্বাধীনতার জন্য দিতে হয়েছে রক্ত। সৃষ্টির আদিকাল থেকেই প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রাম মানুষকে করেছে ভাবুক। এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশিকল যে কিনা নিজের বা অন্যের কবিতা বা ছড়ার লাইন বলেনি।তাই আমরা সবাই কবি।স্বভাব কবি,তার পর ব্যাকরণ কবি বা প্রকারভেদ।যার মধ্যে এখন টপে আছেন রাজনৈতিক মতাদর্শের কবি,সাংগঠনিক কবি,সুবিদাবাদি কবি,ভোগবাদী কবি, হিংসুক কবি।ইনারা নিজেরাই শ্রেষ্ট বাকী সব হরমুল কবি।হরমুল মানে পাঠকাঠি।

বিশ্ব কবি রবি ঠাকুর,বিদ্রহী নজরুল,মাইকেল মধুসুদন থেকে শুরু করে শামসুর রাহমান,হেলাল হাফিজ,রুদ্র মুহাম্মদ কতজন পড়েছি,মনে হয় গুরুদের চিনি। কখনো ছুয়ে দেখিনি কত আপন,তাদের লেখা ছিলো এমন।তাদের মতো লিখলেতো কপি হবে।তাইতো এখন যে যার মতো লেখে। লিখুকনা।

কবিতায় অগ্রজ,প্রয়াত কালে কালে কেন বিখ্যাত হয়েছেন,তখন বই পড়তো। এখন লেখে বেশি, পড়ে কম,শুনে,আর দেখে। সবার কবিতা পাঠ্য বইয়ে যায়না,সবার কবিতা গগনচুম্বী পাঠক প্রিয়তা পায়না।

তাই বলে অকবি,অলেখা,কুলেখা,সুলেখা মন্তব্যে বিভাজন আমি করিনা। যারা করেন করছেন করতে থাকুন,আপনার,আপনাদের লিংকিং ভালো, পত্রিকায় প্রকাশ হচ্ছে
তাই বলে ফেসবুকে যারা লিখে,অনলাইন পোর্টালে,পত্রিকায় যারা লিখে, তাদের নাক সিটকাবেন না। উৎসাহ না দিন,ছোট করবেন না।প্রতিটি লেখক,কবির প্রতিটি শব্দ তার মস্তিস্ক সন্তান।

কবি কবিতার জন্মদাতা,বাচিক শিল্পী কন্ঠে কবিতার পূর্ণতা।

আমাদের বাণী/আ-আ-হ-মৃধা  [wpdevart_like_box profile_id=”https://www.facebook.com/amaderbanicom-284130558933259/” connections=”show” width=”300″ height=”550″ header=”small” cover_photo=”show” locale=”en_US”]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।