পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৫ মন মাছ চুরির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিপার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার চম্পাপুর ইউনিয়নের মাছুয়াখালী গ্রামে এ চুরির ঘটনা ঘটে। এদিকে সংঘবদ্ধ চোরদের ফেলে যাওয়া মাছ ও চুরির সরঞ্জাম নিয়ে ঘেরের মালিক কবির মৃধা শুক্রবার সকালে থানায় হাজির হয়ে নুরজামাল আকন, ওহাব গাজী ও বাবুল মৃধার নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, মাছুয়াখালী গ্রামের আল-আমিন স্কুল সংলগ্ন কবির মৃধার মাছের ঘের থেকে ইতোপূর্বে বেশ কয়েকবার মাছ চুরির ঘটনা ঘটেছে। তাই ঘের মালিক প্রতিদিন ঘের পাহারা দিয়ে আসছিলেন। বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ঘের পাহারা দিতে গিয়ে তিনি দেখতে পান কারেন্ট জাল দিয়ে রুই, মৃগেল, কাতলা, গলদা চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৫ মন মাছ চোরেরা নিয়ে যাচ্ছে। এসময় তার ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে কিছু মাছ, জাল ও একটি মোবাইল ফোন ফেলে রেখে পালিয়ে যান চোরেরা। ঘেরের মালিকের হাতে থাকা টর্চ লাইটের আলোতে চোরদের সনাক্ত করেন।

অভিযোগ কারী কবির মৃধা জানান, সংঘবদ্ধ চোরেরা এর আগেও বেশ কয়েকবার তার ঘের থেকে বাবুল মৃধার নেতৃত্বে কয়েক লক্ষ টাকার মাছ চুরি করেছে। এইবার তিনটি বস্তায় ভরে মাছ নিয়ে গেলেও কিছুটা ফেলে যাওয়া জালে আটকানোবস্থায় মাছসহ চোরের একটি মোবাইল ফোন রেখে পালিয়ে যায়। সকালে থানায় এসে মোবাইল ফোনটি জমা দিয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।

চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত বাবুল মৃধা জানান, ঘটনার সময় আমি শশুর বাড়িতে ছিলাম, আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা অপবাদ দেয়া হচ্ছে।

কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।

[wpdevart_like_box profile_id=”https://www.facebook.com/amaderbanicom-284130558933259/” connections=”show” width=”300″ height=”550″ header=”small” cover_photo=”show” locale=”en_US”]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।