কাউখালী (পিরোজপুর) সংবাদদাতা; ছোট্ট একটি জরাজীর্ণ খুপরী ঘরে বৃদ্ধ মা, স্ত্রী আর দু’ন্তান নিয়ে বসবাস করছে ইলিয়াস হোসেন খান আর এই জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করে পরিবারের সদস্যরা প্রতিনিয়তই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার আমরাজুড়ী ইউনিয়নের পূর্ব আমরাজুড়ী গ্রমের জালাল উদ্দিনের ছেলে অসহায়-সম্বলহীন ইলিয়াছ হোসেন সংসার চালান ছোট একটি চায়ের দোকান দিয়ে। একেতো দরিদ্রতার সাথে যুদ্ধ নিত্যদিনের। তার পরও রোগশোক যেন কিছুতে পিছু ছাড়েনা তাদের।

স্বাভাবিক চা বিক্রী করে ৫ সদস্যের সংসার চালাতে রিতীমত হিসসীম খাচ্ছে ইলিয়াছ। এর ওপর দেশব্যাপী মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে উপার্যনের রাস্তাটিও। এমন পরিস্থিতিতে কোনো মতে খেয়ে না খেয়ে চলছে জীবন সংসার। নূন্যতম নাগরিক সুযোগ-সুবিধা টুকু না পেয়ে এভাবেই মানবেতর জীবনযাপন করছেন অসহায় ইলিয়াছ। ঝড়-বৃষ্টির এ মৌসুমে পরিবার-পরিজন নিয়ে জরাজীর্ণ খুপরি ঘরে মানবেতর জীবন-যাপন করছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইলিয়াছ হোসেন পুরাতন জরাজীর্ণ বসবাসের ঘর’টি একদম অনুপযোগী হয়ে খুবই নাজুক অবস্থা পরিণত হয়েছে। আর এই জরাজীর্ণ ঘরের মধ্যে পরিবারের ৫ সদস্যের বসবাস। এসময় তার সাথে কথা কথা হলে সে জানায়, জরাজীর্ণ এঘরে শীতের দিনে কনকনে ঠান্ডা হাওয়া আর বর্ষায় ঝড়-বৃষ্টিতে ভিজে কোনো মতে মাথা গুজে পরিবার নিয়ে দিন কাটাচ্ছি। এমনিতে সংসারের টানাপোড়েন তার মধ্যে করোনা ভাইরাসের কারনে উপার্যন এক্কেবারে বন্ধ। জরাজীর্ণ ঘর টুকু মেরামতের অর্থ টুকুও নেই। পরিজন নিয়ে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেও এখানেই থাকতে হয়, আমাদের কষ্ট কেউ দেখেন না। একটি মাত্র ঘর তাও ‘টিনের চালা ফুটো, বর্ষায় পানিতে সব ভিজে যায়। অনেকবার চেয়ারম্যান-মেম্বারের দারস্ত হয়েছি কিন্তু কোনো প্রতিকারই পাইনি। সহায়-সম্বলহীন দরিদ্র ইলিয়াস হোসেন একটি বসত ঘরের জন্য সরকারের উর্দ্ধতন মহলের দৃষ্টি কামনা করেন।

এ বিষয়ে ওই গ্রামের ইউপি সদস্য মোঃ আমিন হোসেন বলেন, এই গ্রামে যদি কোন সরকারি ঘর বরাদ্ধ হয়, তাহেলে প্রথমেই সেটা ইলিয়স পাওয়ার যোগ্য। তার ঘরের জন্য আমিও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

আমাদের বাণী ডট কম/২৭  জুন ২০২০/পিপিএম 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।