আশরাফুল ইসলাম, গাইবান্ধা জেলা সংবাদদাতা; এ বর্ষা মৌসুমে টানা বর্ষণ আর উজানের পাহাড়ি ঢলে হু হু করে বাড়ছে গাইবান্ধা জেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি। গত ১২ ঘন্টায় পানি বৃদ্ধি অপরিবর্তিত আছে । ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৮২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে ও ঘাঘট নদীর পানি গাইবান্ধা ব্রীজ পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৪ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপর দিকে তিস্তা, ও যমুনা কাটাখালি করোতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যহত আছে । এতে পানিতে তলিয়ে গেছে বাড়িঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট।

পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ক্রমেই অবনতির দিকে গাইবান্ধআর বন্যা পরিস্থিতি। বন্যার জলে ডুবে যাওয়া বাড়ি ঘর ছেড়ে গবাদি পশু আর স্ত্রী নিয়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে।সেখানেই বান ভাসীদের বর্তমানে নিরাপদ আশ্রয় হয়েছে। তবে বন্যা কবলিত অঞ্চলে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি সংকট ।

গাইবান্ধা জেলার সদর, সাঘাটা ,সুন্দরগঞ্জ ও ফুলছড়ি উপজেলার ২৩ টি ইউনিয়নের ৫০ টি গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সেই সাথে পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে শত শত হেক্টর ফসলি জমি। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেওয়া শুরু করেছেন। হুমকিতে পরেছে গাইাবান্ধা সদর থেকে ফুলছড়ি উপজেলা হয়ে সাঘাটার জুমারবাড়ী পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এ কে এম ইদ্রিস আলী বলেন, বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিতে এ পর্যন্ত জেলায় ৬০ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে এর মধ্যে ফুলছড়ি, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ, ও গাইবান্ধা সদরসহ প্রত্যেক উপজেলায় ২৫ মেট্রিক টন করে চাল এবং ১ লক্ষ ৭৫ হাজার করে টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণসামগ্রী মজুদ আছে এবং বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় তাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে।

আমাদের বাণী ডট কম/ ৩০ জুন ২০২০/পিপিএম

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।