গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষীপাশা ইউপির জগঝাপ গ্রামে মিষ্টি খেয়ে রহস্যজনক ভাবে মিষ্টির বিষক্রিয়ায় ৪ জন শ্রমিক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ শ্রমিকদের তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে একজন মারা যান। এ ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় নাজিম উদ্দিন (২৫), নুর উদ্দিন (৩০) ও আলমগীর হোসেনকে সিলেট এমএমজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মৃত শ্রমিক গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষীপাশা ইউপির ঘাসিমনি এলাকার মৃত খুরশিদ আলীর পুত্র রুয়েল আহমদ (২৫)। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

এ রহস্যজনক বিষাক্ত মিষ্টি কোথায় থেকে আসলো, আর তা খেয়ে শ্রমিক অসুস্থ ও মৃত্যু বরনের ঘটনায় এলাকায় ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।

নিহত রুহেলের ভগ্নিপতি ফখরুল ইসলাম জানান, রুহেল পেশায় দিনমজুর। গত দুদিন যাবত একই ইউপির ঝকঝাপ এলাকায় মাটি কাটার কাজ করছিলেন। দুপুরের খাবারের আগে তারা ৫ জনের মধ্যে ৪ জন মিষ্টি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে রুহেলের মৃত্যু হয়।

এ ব্যাপারে লক্ষীপাশা ইউপি চেয়ারম্যান কবির আহমদ মুশন জানান, ঝকঝাপ ২নং ওয়ার্ডে ঘটনাটি ঘটেছে। ইউপি সদস্যের সাথে আলাপ হয়েছে। তবে কে বা কারা মিষ্টি খাওয়ালো, তার সঠিক খবর জানা যায়নি।

গোলাপগঞ্জ থানার এসআই ফয়জুল করিম জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে জানতে পেরেছি দুপুরে খাবারের আগে তারা মিষ্টি খান। খাওয়া শেষে পান-সুপারী খাওয়ার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ একেএম ফজলুল হক শিবলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছে। এ ঘটনাটি আমরা গুরুত্বের সাথে দেখছি। কিভাবে ঘটনাস্থলে মিষ্টি আসল সেই রহস্য আমরা উদঘাটনে কাজ করছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শ্রমিকরা লক্ষীপাশা ইউপির জগঝাপ ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আাব্দুল হান্নানের বাড়িতে গত দুইদিন থেকে মাটিকাটার কাজ করছিলেন। শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে মিষ্টি খেয়ে হঠাৎ করে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক ভাবে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে রুয়েল আহমদের শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অক্সিজেন দিলেও তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। বাকিদেরকে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। নিহত রুয়েল আহমদ ৪ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট এবং অবিবাহিত ছিলেন।

আমাদের বাণী-আ.আ.হ/মৃধা

[wpdevart_like_box profile_id=”https://www.facebook.com/amaderbanicom-284130558933259/” connections=”show” width=”300″ height=”550″ header=”small” cover_photo=”show” locale=”en_US”]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।