গাজীপুরের টঙ্গীর পাগাড় এলাকা থেকে নুরজাহান বেগম (৩৩) নামে এক গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহতের স্বামী জহিরুল ইসলাম, দোকানের কর্মচারী মো. রুবেল ও জহিরুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে আটক করা হয়েছে।

নিহত নূরজাহান নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানার মোল্লাপতন গ্রামের নূরুল হকের মেয়ে।

স্থানীয়রা জানান, নুরজাহান বেগম স্বামী স্থানীয় মুদি ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলামের সঙ্গে পাগাড় ফরিদ খান রোডের একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন। জহিরুল ইসলাম পূর্বে আরও দুইটি বিয়ে করেন। কিছুদিন যাবত স্বামী স্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কলহ চলছিলো। মঙ্গলবার দিনভর এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয় নূরজাহান বেগমের। রাতে বাসায় ফিরে স্বামী জহিরুল ইসলাম দরজা খোলার জন্য বাসার কলিংবেল চাপলেও ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়িওয়ালা পুলিশকে খবর দেন। পরে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের এসআই মেজবাহ উদ্দিন ঘটনাস্থলে পৌছে দরজা ভেঙে ঘরের মেঝে থেকে নুরজাহান বেগমের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে।

বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট। পরে নিহতের লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর মর্গে পাঠানো হয়।

টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন জানান, দরজা ভেঙে ঘরের মেঝে থেকে নুরজাহান বেগম নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘরের অপর একটি কক্ষের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না ঝুলানো ছিলো। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ফাঁসি নিতে ব্যর্থ হয়ে তিনি ধারালো দা দিয়ে নিজের গলা কেটে আত্মহত্যা করেন।

[wpdevart_like_box profile_id=”https://www.facebook.com/amaderbanicom-284130558933259/” connections=”show” width=”300″ height=”550″ header=”small” cover_photo=”show” locale=”en_US”]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।