নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরুর কথা ছিল বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপ। কিন্তু সেটা এখন পিছিয়ে যাওযার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। সম্ভবত আরও এক সপ্তাহে পিছাতে পারে। এরই মধ্যে বিসিবির ক্রিকেট কর্তারা প্রতিটি দলের জন্য স্পন্সর খুঁজছে। পাঁচটি দল নিয়ে শুরু হবে টি-২০ কাপ। জানা যায় প্রতিটি দলের জন্য হচ্ছে বড় বাজেট। একেকটি দলের বাজে হতে চলেছে প্রায় দুই কোটি টাকা। তেমনি গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে ক্রিকেটাঙ্গনে।

তবে ক্রিকেটারদের দলে অন্তর্ভুক্ত করার আগে তাদের আলাদা ক্যাটাগরিতে অর্থাৎ চারটি ক্যাটাগরিতে সাজানো হচ্ছে। অনেকটা বিপিএল এর আদলে। সেই ক্যাটাগরি অনুযায়ী একেকজন খেলোয়াড় সর্বনি¤œ ৪ লাখ টাকা পাবেন, সর্বোচ্চ যা ১০ লাখ টাকা।

‘এ’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটাররা পাবেন ১০ লাখ টাকা করে। বলাবাহুল্য, দেশের শীর্ষস্থানীয় তারকা ক্রিকেটাররাই থাকবেন এই ক্যাটাগরিতে। ‘বি’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটাররা পাবেন ৮ লাখ টাকা করে। এছাড়া ‘সি’ ও ‘ডি’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটাররা যথাক্রমে ৬ লাখ ও ৪ লাখ টাকা করে পাবেন।

প্রাইজমানি ছাড়াই বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের বাজেট ধরা হয়েছে ১০ কোটি টাকা। বিপিএলের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্পন্সর হওয়ার সুযোগও দিচ্ছে বিসিবি। ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে দেওয়া হয়েছে এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্টের বিজ্ঞপ্তি। আগ্রহী প্রতিষ্ঠানদের আগামী ১ নভেম্বরের মধ্যে সাড়া প্রদানের আহ্বান জানানো হয়েছে।

গতকাল সে ইস্যুতে বিসিবি সিইও নিজাম উদ্দিন চৌধুরী জানান, বোর্ড নীতিগতভাবে টিম স্পন্সরশিপের আশা করছে। আর তাই তারা আগে স্পন্সরশিপ নিশ্চিতের অপেক্ষায়। আর প্লেয়ার্স ড্রাফটাও সেই করপোরেট হাউস বা ব্যক্তিমালিকানা প্রতিষ্ঠানগুলোর মতের ও ইচ্ছের ওপর নির্ভর করছে।

এ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘আমরা আসলে এখনো কিছু চূড়ান্ত করিনি। আমরা চেষ্টা করছি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টিম স্পন্সরগুলো কনফার্ম করতে। যেটা আমরা ইতোমধ্যে এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট (ইওআই) দিয়েছি টিম স্পন্সর চেয়ে। তারপর আমাদের যে সকল ‘স্টেক হোল্ডার’ আছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিব।’

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।