ডেস্ক রিপোর্ট ঢাকা; গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এক মাসে চিকিৎসায় ব্যয় হয়েছে সাড়ে তিন লাখ টাকা। এই টাকা ব্যয় হয়েছে তার করোনা, ডায়ালাইসিস ও নিউমোনিয়ার চিকিৎসায়। ১৩ মে তিনি করোনা মুক্ত হন।

  • আজ শুক্রবার (২৬ জুন ২০২০)  এ চিকিৎসা ব্যয়ের কথা জানিয়েছেন গণস্বাস্থের চিকিৎসক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. মামুন মোস্তাফিজুর। জাফরুল্লাহ চৌধুরী তার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।

শুধু করোনা চিকিৎসায় কত টাকা ব্যয় হয়েছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওভাবে আলাদা করে কোনো হিসাব করা হয়নি। কারণ একদিন পরপর তার ডায়ালাইসিস ও নিউমোনিয়ার চিকিৎসা করতে হয়েছে।

  • বর্তমানে জাফরুল্লাহ চৌধুরী কেমন আছে জানতে চাইলে মামুন মোস্তাফিজুর বলেন, নিউমোনিয়ার সমস্যা এখনো পুুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তাই তাকে হাসপাতালে রাখা হয়েছে।

গত ২৪ মে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ১৩ জুন জাফরুল্লাহ চৌধুরী করোনা মুক্ত হন। তার করোনা মুক্ত হতে লাগে ২০ দিন। এর মধ্যে তাকে তিনবার প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হয়।

  • ১৪ জুন রবিবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল সাংবাদিকদের জানান, ১৩ জুন শনিবার রাতে গণস্বাস্থের অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি কিট দিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ’র করোনা টেস্ট করা হয়। পরীক্ষায় যে ফলাফল পাওয়া গেছে তাতে নিশ্চিতভাবেই বলা যায় তিনি করোনামুক্ত হয়েছেন। তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন। তার শরীরে যথেষ্ট অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।

এর আগে ২৪ মে গণস্বাস্থ নগর হাসপাতালে তাদের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস শনাক্তের কিট দিয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর টেস্ট করা হলে ফলাফল পজেটিভ আসে। পরদিন জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ধানমন্ডির বাসায় আইসোলেশনে আছেন। পরে তার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে গত ২৬ মে থেকে তাকে ধানমন্ডির গনস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের কেবিনে রাখা হয়।

আমাদের বাণী ডট কম/২৬ জুন ২০২০/পিপিএম 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।