দেশে পেঁয়াজের বাজার এখনও সিন্ডিকেটের কবলে। গত দু`দিনেই কারসাজি করে পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের পকেট কেটে বের করে নিয়েছেন দেড়শ` কোটি টাকা।

ভারত রোববার পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর ঢাকাসহ সারাদেশে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেয় এই অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট। এক দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেশি নেওয়া হয় ৪০ টাকা।

গতকালও সারাদেশে পেঁয়াজের দাম একশ` টাকার ওপরে বেচাকেনা হয়েছে। দাম বাড়েনি, তবে কমেওনি। বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং জোরদারে নতুন করে ১০টি টিম গঠন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

পাশাপাশি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বাজার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গতকাল রাজধানীর মিরপুর শাহআলী, মিরপুর ৬ নম্বর বাজার ও মোহাম্মদপুর টাউনহলসহ বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালিয়ে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির অভিযোগে বেশ কয়েকজন দোকানদারকে জরিমানা করা হয়।

এ ছাড়া জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংস্থার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সারাদেশে বাজারে অভিযান চলছে। নোয়াখালীতে গুদামভর্তি ও বাজারে প্রচুর সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও ১০০ টাকা কেজি পেঁয়াজের দাম নেওয়ার অপরাধে চৌমুহনী ও মাইজদী পৌরবাজারের দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোকনুজ্জামান খানের নেতৃত্বে র‌্যাব অভিযান পরিচালনা করে। এরপরও বাজারের চড়া দাম নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

রাজধানীসহ সারাদেশের বাজারে আগের দিনের মতো গতকাল খুচরায় প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ ও আমদানি করা পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হয়। এই পেঁয়াজ দু`দিন আগে ছিল যথাক্রমে ৭৫ থেকে ৮০ ও ৭০ থেকে ৭৫ টাকা।

সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে ৪০ টাকা কেজিতে আমদানি করা পেঁয়াজ খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। এতে গত দু`দিন প্রতি কেজি পেঁয়াজে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত মূল্য গুনেছেন ক্রেতারা। খুচরা বিক্রেতারা বলেন, পাইকার ও আমদানিকারকরা একই হারে দাম বাড়ানোর ফলে খুচরায় এই দাম বেড়েছে। বড় এই ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের অতিরিক্ত মূল্য বাগিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তারা।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।