আন্দোলনে সংশ্লিষ্ট থাকার জন্য গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ১৪ জন শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শাও নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। তবে কোন আন্দোলনে সংশ্লিষ্ট থাকায় এই কারণ দর্শাও নোটিশ প্রদান করা হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরও কোনো তথ্য দিতে পারেননি। তবে শিক্ষার্থীরা নোটিশের বিষয়ে জানলেও কোন আন্দোলনের জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়েছে তা জানেননা বলে জানিয়েছেন। তবে গত ১৬ মে ধানের ন্যায্য মূল্য চেয়ে একটি মানববন্ধন করার কারণে এ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে তারা মনে করছেন।

গত ৩০ মে (বৃহস্পতিবার) বিভিন্ন বিভাগের ১৪ জন শিক্ষার্থীর উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোঃ নুরুদ্দীন আহমেদ সাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়, ‘অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করার অভিপ্রায়ে প্রশাসন অনুমতি ছাড়া সরকার ও প্রশাসন বিরোধী প্লাকার্ড, ফেস্টুন বহন ও উস্কানিমূলক প্রদান করা এবং অতুৎসাহী হয়ে অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো আন্দোলন করার আগেই আন্দোলনের সাথে আপনাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে, যা বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী একটি গর্হিত কাজ।’

এতে আরও বলা হয়েছে, ‘সুতরাং এহেন কাজের জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবেনা তা অত্র পত্র জারির ০৭(সাত) কর্মদিবসের মধ্যে নিম্নসাক্ষরকারী দপ্তরে লিখিতভাবে জনাব প্রদানের জন্য বলা হলো।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোঃ নুরুদ্দীন আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোন আন্দোলনের জন্য এই নোটিশ দেয়া হয়েছে তা তিনি জানাতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘শৃঙ্খলা বোর্ডের নির্দেশ অনুযায়ী নোটিশ দিয়েছেন।’ এ বিষয়ে জানার জন্য শৃঙ্খলা বোর্ডের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি।

পরে শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আশিকুজ্জামান ভুঁইয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন আন্দোলনের জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছে তা জানেননা বলে জানান। তিনি এ বিষয়ে রেজিস্ট্রারের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।

তবে নোটিশপ্রাপ্ত এক শিক্ষার্থী রথীন্দ্রনাথ বাপ্পী জানান, ‘আমরা কিছুদিন আগে ধানের ন্যায্যমূল্যের দাবিতে মানববন্ধন করেছিলাম, তারা সম্ভবত সেই মানববন্ধনকে কেন্দ্র করে এই নোটিশ দিয়েছে। তবে আমরা উক্ত মানববন্ধনে কোনো ধরনের সরকার এবং প্রশাসন বিরোধী বক্তব্য দেইনি। শুধুমাত্র কৃষকের অধিকারের কথা বলেছি এবং সরকারের নিকট ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছি।’

তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সম্মান করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী সাতদিনের মধ্যেই লিখিতভাবে উক্ত নোটিশের উত্তর দিবেন বলেও জানান এই শিক্ষার্থী।

উল্লেখ্য, গত ১৬ মে ধানের ন্যায্যমূল্যের দাবিতে মানববন্ধন করেছিলো বশেমুরবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এর পূর্বে ১৪ এবং ১৫ মে একই দাবিতে মানববন্ধন করেছিলেন বরিশাল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরাও।

ধানের ন্যায্য মুল্যের চাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীকে শোকজ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।