দু’বছরের প্রেমের জের কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী তার বিয়ের দাবীতে কেশবপুর উপজেলার মূলগ্রামে প্রেমিকের বাড়িতে এসে ২ দিন ধরে অনশন শুরু করেছে। এ সময় ছেলের অভিভাবকরা ওই ছাত্রীর প্রেমকে অস্বীকার করে তাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। এ খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলাউদ্দীন আলা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছেন।

এলাকাবাসী জানায় মনিরামপুর উপজেলার শয়লা গ্রামের আব্দুল হাকিম মোল্যার মেয়ে কেশবপুর উপজেলার কোমরপোল আইডিয়াল কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষে ছাত্রী নাসরিন আক্তার রিয়া(১৮) গত দু‘বছর আগে কলেজে আসার সুযোগে কেশবপুর উপজেলার মূলগ্রামের আতিয়ার খাঁর ছেলে মইনুর রহমানের সাথে তার পরিচয় সূত্রে প্রেম হয়। ওই ছাত্রীর সরলতার সুযোগ নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মইনুর রহমান তার সাথে দৈহিক সম্পর্ক অব্যাহত রাখে বলে ছাত্রী সকলকে জানায়।

নাসরিন আক্তার রিয়া জানায়, তার সাথে মইনুরের প্রেমের সম্পর্কের কথা জানানো হলে তার অভিভাবকরা বিভিন্ন জায়গায় মেয়ে দেখাদেখি ও তাকে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। তাদের সেই চেষ্টায় আগামী শুক্রবার মইনুরের বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করেছে। এ সংবাদ জানতে পেরে ছাত্রী রিয়া ১৫ জুন বিকেল থেকে বিয়ের দাবিতে মইনুরের বাড়িতে অনশন অব্যাহত রেখেছে। মেয়ের অনশন অব্যাহত রাখার ফলে ছেলের অভিভাবকরা তাকে নানাভাবে তিরস্কার করে মানসিক নির্যাতন করছে।

এ ব্যাপারে কেশবপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলাউদ্দীন আলা সাংবাদিকদের জানান, মেয়েটিকে কোন প্রকার নির্যাতন না করে মইনুরের বাড়িতে রাখা হয়েছে। তার অভিভাবকদের খবর দেয়া হয়েছে। ১৬ জুন উভয় পরিবারের লোকদের নিয়ে বসে বিষয়টি নিরসন করা হবে।

কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহিন জানান, মেয়েটিকে কোন প্রকার নির্যাতন না করে বিষয়টি নিরসনের জন্যে চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।