বগুড়া সংবাদদাতা;  উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।

  • আজ রবিবার (২৮ জুন ২০২০)  পর্যন্ত তিন উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ৯০টি গ্রামের ১৫ হাজার ৪০টি পরিবার ও প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) আজ বেলা ৩টার দিকে সারিয়াকান্দির মথুরাপাড়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানির প্রবাহের রেকর্ড করেছেন। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয় ১৬ দশমিক ৭০ মিটার। একদিন আগে এই পয়েন্টে পানি ১৬ দশমিক ৭৩ মিটার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছিল।

  • এদিকে যমুনা নদীর পানি বেড়ে সোনাতলা উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের ১৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে ৫১৫ হেক্টর জমির ধান, পাট, সবজি ও বীজতলা, সারিয়াকান্দি উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ৬৪টি গ্রামের ৪ হাজার ৭৬ হেক্টর জমির ধান, পাট, সবজি, মরিচ, ভূট্টা ও বীজতলা এবং ধুনট উপজেলার ১টি ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের ১০১ হেক্টর জমির ধান, পাট ও আখ তলিয়ে গেছে।

বন্যা কবলিত এলাকার যেসব বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে, তারা আসবাবপত্র নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছেন। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের কবলে ইতিমধ্যে সারিয়াকান্দি উপজেলার ৪ শতাধিক ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলার বহুলাডাঙা কমিউনিটি ক্লিনিক, আাউচারপাড়া সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কাকালিহাতা জামে মসজিদ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে ।

  • বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান বলেন, ‘যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি ঘটছে। চরাঞ্চলে কিছু জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। তবে নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে কোথাও কোনো ভাঙন নেই।’

মাহবুব রহমান আরও বলেন, ‘বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অবস্থা ভালো আছে। পুরো বাঁধ এলাকা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’

আমাদের বাণী ডট কম/২৮  জুন ২০২০/পিপিএম 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।