বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রত্ব হারিয়েও যারা জীবন যুদ্ধে জয় লাভ করে বিশ্ব বিখ্যাত হয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন বিল গেটস, স্টিভ জবস, মার্ক জাকারবার্গ। ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণ অক্ষরে তাদের সফলতার কথা লিখা থাকবে। যুগে যুগে সফল ব্যাক্তিদের আলোচনায় উঠে আসবে যাদের নাম।
বিল গেটস। এক নামেই চেনেন সকলেই। বিশ্বের বুকে ইতিহাস রচনাকারী এই ধনকুবের মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা। হাজারো স্বপ্ন থেকে একটি সফল স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিয়ে প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে বিশ্ব বিখ্যাত হয়েছেন বিল গেটস।
বিশ্ব বিখ্যাত ব্যাক্তিদের আলোচনায় বলা হয় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে সফল ড্রপ আউট তিনি। ১৯৭৩ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন গেটস। স্যাট পরীক্ষায় ১৬০০ নম্বরে ১৫৯০ পান তিনি। কিন্তু কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরির নেশায় তিনি ১৯৭৫ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাম কাটান। ড্রপ আউট হওয়ার ৩২ বছর পরে ২০০৭ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় বিল গেটসকে অনারারি ডিগ্রি প্রদান করে। একই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন বিল গেটস।
স্টিভ জবস। তিনিও বিশ্ব বিখ্যাত ব্যাক্তিদের তালিকায় শীর্ষে। অ্যাপল এর সহপ্রতিষ্ঠাতা প্রযুক্তিবিস্ময় স্টিভ জবস। তিনি ছিলেন কলেজ ড্রপ আউট। হাইস্কুলের পড়াশোনা শেষে ১৯৭২ সালে রিড কলেজে ভর্তি হন জবস। কিন্তু কলেজটি ব্যয়বহুল হওয়ায় পড়ালেখা চালিয়ে নিতে পারেননি জবস। ছয় মাসের মধ্যে নাম কাটা যায় তাঁর। নামা কাটার পরেও ১৮ মাস সেই কলেজের ডর্মের বন্ধুর রুমে থাকতেন। ডিগ্রি নেই তো কী হয়েছে, স্টিভ জবস ২০০৫ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন। স্টিভ জবসের জীবনাবসান হয় ৫ অক্টোবর ২০১১ সালে।
মার্ক জাকারবার্গ। তাকে সকলেই চেনেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া অবস্থায় হাত দেন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক প্রতিষ্ঠায়। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে বসে বন্ধুদের নিয়ে তৈরি করেন ফেসবুক। ২০০৪ সালে ফেসবুক প্রতিষ্ঠার পরেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ড্রপ আউট হন তিনি। ফেসবুক এখন বিশ্বজুড়ে সর্বাধিক ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। জাকারবার্গ ২০১১ সালে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়াতে সমাবর্তন বক্তব্য দেন।