রবিবার নয়াদিল্লিতে আবারও রচিত হলো ইতিহাস। আইবিএ মহিলা বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ ভারতের ঝুলিতে চতুর্থ স্বর্ণপদক এনে দিলেন বক্সার লভলিনা বোরগোহাইন। টোকিও অলিম্পিক ব্রোঞ্জ পদক জয়ী মহিলা বক্সার ৭০-৭৫ কেজি বিভাগের ফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ ক্যাটলিন অ্যান পার্কারকে পরাজিত করেছিলেন।
প্রথম রাউন্ডে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। কেউ নিজের প্রতিপক্ষকে এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে দেননি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অল্প ব্যবধানে প্রথম রাউন্ডে নিজের নামে করে নেন লভলিনা। কিন্তু দ্বিতীয় রাউন্ড পার্কার প্রত্যাবর্তন করেন অসাধারণ ভাবে। প্রায় একপাশে ভাবেই রাউন্ডে জিতে নেন তিনি। ফলে বেশ কিছুটা বেকায়দায় পড়ে যান লভলিনা এবং তৃতীয় রাউন্ডে ভারতীয় তারকাকে আক্রমণাত্মক পন্থা বজায় রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন।
ফাইনাল রাউন্ডে লভলিনা আক্রমণাত্মক প্রদর্শনেও প্রতিপক্ষের উপর বেশ কয়েকটি শক্তিশালী জ্যাব বসিয়ে দিতে পেরেছেন। যদিও লড়াইটা একেবারেই সহজ হয়নি কিন্তু শেষপর্যন্ত নিজের দক্ষতা এবং স্নায়ুর জোর এর ওপর ভর করে লভলিনা বিজয়ী হন।
এর আগে ২০১৮ এবং ২০১৯ সংস্করণে ব্রোঞ্জ জয়ের পর এইবার স্বর্ণপদক জিততে মরিয়া ছিলেন আসামের বারপাথারের তারকা বক্সার। ২০২২ সালটা তার একেবারেই ভালো যায়নি। ২০২১ সালে টোকিও অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ পদক জেতার পর তিনি নিজের সাফল্যকে ত্বরান্বিত করতে ব্যর্থ হন এবং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ও কমনওয়েলথ গেমস উভয় জায়গাতেই হতাশ করেছিলেন। তবে ২০২৩ সালের শুরুতেই এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে আবারও দেশের মুখ উজ্জ্বল করলেন তিনি।
ফাইনাল জয়ের পর তিনি বলেছেন যে সঠিক পরিকল্পনা তৈরি করে সেই অনুযায়ী পারফরম্যান্স করতে পারাই এই সাফল্যের মূল কারণ। নিজের কোচ এবং সমগ্র দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে লভলিনা বলেছেন যে এখানেই তার যাত্রা শেষ হয়ে যাচ্ছে না। ভবিষ্যতে তিনি দেশকে আরও গর্বিত করার চেষ্টা করবেন এবং অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জন করে সেখান থেকেও পদক এনে দেবেন।