কৃষি-কৃষক-ক্ষেতমজুর ও দেশ বাঁচাতে ইউনিয়ন ভিত্তিক ক্রয় কেন্দ্র চালু, ফসলের লাভজনক দাম নিশ্চিত করা ও জাতীয় বাজেটে কৃষি খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবিতে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় হাটসভা করেছে কৃষক ও ক্ষেতমজুর সংগ্রাম পরিষদ নাটোর জেলা শাখা।

সোমবার উপজেলার কুরশাইট এবং নগর বাজারে এই হাটসভা অনুষ্ঠিত হয়।

হাটসভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, এদেশের কৃষক কিনতে ঠকে, আবার বেচতেও ঠকে। যে কৃষক উৎপাদন করে ১৭ কোটি মানুষের মুখের ভাত যোগায়, যাদের শ্রমে-ঘামে খাদ্য উৎপাদনে দেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ; সরকার যার কৃতিত্ব দাবি করে। ১৯৭২ সালে জনসংখ্যা ছিল সাড়ে ৭ কোটি, খাদ্য উৎপাদন হতো ১ কোটি মেট্রিক টন। বর্তমানে জনসংখ্যা ১৭ কোটি, খাদ্য উৎপাদন বেড়ে হয়েছে পৌনে ৪ কোটি মেট্রিক টন। অর্থাৎ জনসংখ্যা বেড়েছে সোয়া দুই গুণ, খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে ৪ গুণ। তারপরও কেন দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ অর্ধাহারে অনাহারে থাকে? সরকার ঘোষিত মূল্যে ধানসহ ফসল বিক্রি করতে না পেরে লোকসান দেয় কৃষক। লাভবান হয় মধ্যস্বত্তভোগী ফড়িয়া ও চাতাল মালিক, সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা।

হাটসভায়  উপস্থিত ছিলেন কৃষক সমিতির কেন্দিয় সদস্য নির্মল চৌধুরি, কৃষক ফ্রন্ট জেলা সংগঠক দেবাশীষ রায়, কৃষক সমিতি নেতা শামসুল হক,রসুন চাষী নেতা আলমগীর হোসেন সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

হাটসভা থেকে নেতৃবৃন্দ কৃষি ফসলের লাভজনক দাম নিশ্চিত, প্রতি ইউনিয়নে ক্রয় কেন্দ্র চালু, পর্যাপ্ত কোল্ডস্টোরেজ নির্মাণ, জাতীয় বাজেটে কৃষি খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি, ক্ষেতমজুরদের সারা বছার কাজ, স্বল্পমূল্যে গ্রামীণ রেশনিং ও ১২০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্প চালু, ভিজিএফ, ভিজিডি, কাবিখা, টিআর, বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতার পরিমাণ ও সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি জানান।

আমাদের বাণী-আ.আ.হ/মৃধা

[wpdevart_like_box profile_id=”https://www.facebook.com/amaderbanicom-284130558933259/” connections=”show” width=”300″ height=”550″ header=”small” cover_photo=”show” locale=”en_US”]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।