ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা;  সব রেকর্ড ছাপিয়ে ভারতে করোনাভাইরাসে একদিনে প্রায় ২০ হাজার মানুষ সংক্রমিত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে মোট সংক্রমিত ১৯ হাজার ৯০৬ জন। মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ৫ লাখ ২৮ হাজার ৮৫৯ জন।

আজ রবিবার ( ২৮ জুন ২০২০)  সকালে এই পরিসংখ্যান দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়। সংক্রমণের হিসাবে ভারত এখন বিশ্বের চতুর্থ দেশ। তার আগে আছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল আর রাশিয়া।

ভারতের আটটি রাজ্য- মহারাষ্ট্র, দিল্লি, তামিলনাড়ু, গুজরাট, তেলেঙ্গানা, উত্তর প্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ আর পশ্চিমবঙ্গ মোট সংক্রমণের ৮৫.৫ শতাংশ। এই রাজ্যগুলোর থেকেই মারা গেছে মোট মৃতের প্রায় ৮৭ শতাংশ।

পরপর দু’দিন মহারাষ্ট্রে একদিনে সংক্রমিত হয়েছে পাঁচ হাজার করে। সে রাজ্যে মোট সংক্রমিত হয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ১৩৩ জন।

মহারাষ্ট্রের পরেই সংক্রমণে এগিয়ে দিল্লি। সে রাজ্যে মোট সংক্রমিত ৮০ হাজার। মোট মৃত ২ হাজার ৫৫৮। ক্রমাগত বেড়ে চলা সংক্রমণে দিল্লিতে সংকটের মুখে করোনা বেড।

ক্রমাগত বেড়ে চলা সংক্রমণের আঁচ থেকে বাঁচতে প্রতি রোববার সম্পূর্ণ লকডাউন পালন করছে কর্নাটক। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর বাইরে আর কিছু যাবে না এদিন।

এদিকে, করোনা চিকিৎসায় সাশ্রয়ী স্বল্পমূল্যের স্টেরয়েড ডেক্সামেথাসোনের ব্যবহারে অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার।

ইন্দো-মার্কিন চিকিৎসক সংগঠনের বার্ষিক সভায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘করোনার বিরুদ্ধে এই লড়াই, দেশবাসীর লড়াই। এদেশে প্রতি লাখে ১২ জনের কম মারা গেছে। অন্য দেশের থেকে অনেক কম।’

এদিকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের সর্বশেষ (২৮ জুন ২০২০) তথ্য অনুযায়ী, গত গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৩ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। ফলে ভাইরাসটিতে মোট ১৭৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮০৯ জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৩৭  হাজার ৭৮৭ । গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৭ হাজার ৩৪টি আর পরীক্ষা করা হয়েছে পূর্বের মিলে ১৮ হাজার ৯৯টি। শনাক্তের হার ২১.০৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪০৯ জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৫৫ হাজার ৭২৭ জন। সুস্থতার হার ৪০.৪৪% এবং মৃত্যুর হার ১.২৬ শতাংশ। বয়স বিশ্লেষণে জানা যায়, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৩১-৪০ একজন, ৪১-৫০ সাতজন, ৫১-৬০ ১৩ জন, ৬১-৭০ ১২ জন, ৭১-৮০ সাতজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২১ জন ঢাকা বিভাগের। এরপরই আছে চট্টগ্রাম বিভাগ (১০ জন)।

আমাদের বাণী ডট কম/২৮ জুন ২০২০/পিপিএম

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।