সমাজের চিত্র মানুষের মাঝে তুলে ধরে গণমাধ্যম আর এই গণমাধ্যমে সংবাদ প্রেরণ করে সাংবাদিকরা। দিন নাই রাত নাই ঘটনা যেখানে সেখানেই সংবাদ সংগ্রহ করতে যায়  এই সাংবাদিকগণ। দেশের চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে বাংলাদেশে সাংবাদিক নিপীড়নের ঘটনা নতুন কিছু নয়। দেশের উন্নয়ন থেকে শুরু করে যারা অনিয়ম দুর্নীতি সবার সম্মুখে উম্মোচন করে  তারা নিপীড়নের শিকার হলে দেখার কেউ থাকে না, না পান বিচারও। তেমনই মফঃস্বলে সাংবাদিকতা করা আবুল কালাম আজাদ। সমাজের নানাবিধ চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে দীর্ঘ প্রায় সাত মাস ধরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। শুরুতে খোঁজ খবর কেউ কেউ নিলেও এখন খোঁজ নেওয়ার মত কেউ নেই।

আবুল কালাম আজাদ রাজবারীর পাংশা পৌর সভার মাগুরাডাঙ্গি গ্রামের মোঃ মহসিন আলী মিয়ার সন্তান।তিনি পাংশা উপজেলা প্রেসকালেব্র সভাপতি। দীর্ঘ প্রায়্ ২০ বছর ধরে সমাজের নানাবিধ চিত্র তুলে ধরা এই সাংবাদিকের সাংবাদিকতায় যে জীবনের কাল হবে তা তিনি কোনদিনও ভাবেন নাই।

গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর  শুত্রবার রাত ৮ টায় উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয় থেকে পেশাগত দায়িত্ব পা্লন শেষে বাসার উদ্দেশ্য ফিরছেলেন। পাংশা সার্কেল এসপি অফিসের মাত্র ২ শ গজ দুরে পূর্ব থেকে টার্গেট করে রাখা একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় তার দুই পা ও দুই হাত ভেঙ্গে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গা যখম হয়।শুরুতে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হলেও ঐ দিনই তাকে প্রেরণ করা হয় ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে। সেখানে প্রায় তিন মাস চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে বাড়ীতে তিনি পঙ্গু জীবন যাবন করছেন।

তার চিকিৎসা ব্যয় ও এই হামলার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবিতে তিনি কয়েকবার প্রধানমন্ত্রীর নিকটু আকুল আবেদনও করেছিলেন। বর্তমানে তিনি বৃদ্ধ বাবা মা ও দুই সন্তান এবং স্ত্রী নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সাংবাদিক কল্যাণ তহবিল থেকে সাহায্যর জন্য কয়েকবার আবেদনও করেছিলাম।আমি পুনরায় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।তিনি আরও বলেন, আমি আবার আমার পেশায় ফিরতে চাই ফের লিখতে চাই সমাজের নানা অনিয়ম দুর্নীতি ও সরকারের উন্নয়নমুলক বীরত্ব গাঁথার কথা।

আমাদের বাণী-আ.আ.হ/মৃধা

[wpdevart_like_box profile_id=”https://web.facebook.com/amaderbanicom-284130558933259/” connections=”show” width=”300″ height=”550″ header=”small” cover_photo=”show” locale=”en_US”]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।