চিকিৎসকদের দেওয়া মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন স্পষ্ট অক্ষরে লিখতে হবে। আর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের একটি টাইপ করা কপিও ওই প্রতিবেদনের সঙ্গে যুক্ত করে দিতে হবে। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকদের প্রতি এই নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এক মামলায় দাখিল করা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে চিকিৎসকের অস্পষ্ট লেখা দেখে বুধবার এই নির্দেশ দেয় বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাই কোর্ট বেঞ্চ।

দেশের মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং সব সিভিল সার্জনকে জানাতে ওই নির্দেশনাসংবলিত সার্কুলার জারি করতে স্বাস্থ্যসচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত বলেছেন, যেকোনো হত্যা মামলায় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ দলিল।

কক্সবাজারে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলায় জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দেওয়া ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের লেখা অস্পষ্ট হওয়ার প্রেক্ষাপটে ওই আদেশ দেওয়া হয়। ওই মামলায় সাইফুলের সহপাঠী অপর কিশোরের জামিন শুনানিতে ওই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়।

আদালতে জামিন আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী দাস তপন কুমার। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।

সাইফুল হত্যার ঘটনায় করা এজাহারে বলা হয়, এই স্কুলছাত্রের সঙ্গে সহপাঠীর কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে ২০১৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি তার উপর হামলা চালায় ওই সহপাঠী ও অজ্ঞাত ৫/৬ জন। আহত অবস্থায় তাকে কক্সবাজারে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ২০ ফেব্রুয়ারি তার মৃত্যু ঘটে।

তার দুদিন পর ২২ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার থানায় মামলা হয়। মামলার পর সহপাঠীসহ কয়েক আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ মামলায় কারাবন্দি সহপাঠী কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে জামিনের আবেদন করে। ওই আদালত গত ১২ সেপ্টেম্বর তার জামিন আবেদন খারিজ করে দেয়।

এরপর হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করা হয়। জামিন আবেদনের সঙ্গে সাইফুলের ময়না তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়; যা পড়ার অযোগ্য ঠেকেছে বিচারকদের কাছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।