ঈদকে সামনে রেখে বগুড়া থেকে ঢাকাগামী বাসে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগে শনিবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত শাহ্ ফতেহ আলী পরিবহনের ৩০ হাজার, হানিফ এন্টারপ্রাইজের ২০ হাজার, শ্যামলী পরিবহনের ১০ হাজার ও মানিক এক্সপ্রেসের পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে। এরপর সব প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ নিজ নিজ কাউন্টারে টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দেয়। এতে ঢাকাগামী যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত শহরের সাতমাথায় এ অভিযান চালায়।
ঢাকাগামী এসব কোচের কাউন্টারে টিকিটের মূল্য প্রদর্শন না করা এবং বেশি ভাড়া আদায় করায় মোট ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে আদালত।
ম্যাজিস্ট্রেট তাজ উদ্দিন বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী প্রতিটি কাউন্টারে টিকিটের মূল্য প্রদর্শন বাধ্যতামূলক। এছাড়া নির্দিষ্ট গন্তব্যের ধার্য করা ভাড়া বা টিকিটের মূল্য বেশি নেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ।
“শনিবার দুপুরে চারটি পরিবহনের কাউন্টারে গিয়ে এসব অনিয়ম পাওয়া গেছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ওই চারটি পরিবহন সংস্থাকে জরিমানা করা হয়েছে।” এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানার পরপরই টিকিট কাউন্টারগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। যাত্রীরা কাউন্টারে এসে ফেরত যাচ্ছেন।এতে বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ঢাকাগামী যাত্রীদের।