জুয়া খেলার উৎস বা শুরুটা অজানা। নির্দিষ্ট করে বলার উপায় নেই কখন আর কিভাবে এর উদ্ভব। আনুমানিক কয়েক হাজার বছর আগে প্রচলন। ইতিহাসের প্রায় সব সমাজে কোনো-না-কোনো রূপে জুয়ার প্রচলন ছিল। প্রাচীন গ্রিক-রোমান থেকে নেপোলিয়নের ফ্রান্স এবং বর্তমান বাংলাদেশ সবখানেই জুয়ার প্রচলন দেখা যায়। উপমহাদেশে ‘পাশা’ খেলা হচ্ছে জুয়ার একটি আদিরূপ। আধুনিককালে অনিয়ন্ত্রিত জুয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য ক্যাসিনোর উৎপত্তি। এখন দেশে দেশে জুয়ার আসরে চলে ক্যাসিনোর রমরমা ব্যবসা। ওড়ানো হয় হাজার হাজার কোটি টাকা। তাই বিশ্বজুড়ে গড়ে উঠেছে হাজারো ক্যাসিনো; যেখানে জুয়ার নেশায় মেতে থাকে জুয়াড়িরা। পাশা খেলায় হেরে এমনকি, বউ খোয়ানোর ঘটনা মহাভারতে উল্লেখ আছে। হিন্দুধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, পঞ্চপাণ্ডবের একজন, যুধিষ্ঠির কুটিল শকুনীর সাথে পাশা খেলায় হেরে স্ত্রী দ্রৌপদীসহ রাজ্যপাট হারিয়েছিলেন। জুয়ায় হেরে বউ খোয়ানোর ঘটনা কম ঘটেনি। খবরের কাগজে এমন সংবাদ বহু প্রকাশিত হয়েছে। তবে আজ পর্যন্ত কোনো নারী জুয়ায় বাজি ধরে স্বামী খুইয়েছে কি না তা জানা নেই। এমন ঘটনা ঘটলে জুয়ার বেলায় এক ধরনের সমতা বিধান হতো।

প্রাচীন আরবেও জুয়ার প্রচলন ছিল। আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম প্রধান কবি ফররুখ আহমদের কাব্যনাটক ‘নৌফেল ও হাতেম’-এ এ বিষয়ে উল্লেখ পাওয়ায় যায়। ওই কাব্য নাটকের প্রথম অঙ্কে রাজা নৌফেলের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত, রাজ্যে প্রাচীন মেলায় আসা গুপ্তচর ও কয়েকজন দর্শকের জবানিতে সর্বনাশা জুয়ার উল্লেখ আছে। তাতে বলা হয়েছে- ‘জাহান্নামে যাক জুয়া খেলা। সর্বস্বান্ত গরীবেরা/ মারা পড়ে প্রতিদিন আজাজিল জুয়াড়ির চালে/ আসে তবু মৃত্যু আকর্ষণে?’

মনোবিজ্ঞানীদের অভিমত, জুয়া খেলতে খেলতে অনেকেই নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এতে তাদের জীবন সমস্যাপূর্ণ হয়ে ওঠে। গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ ছেড়ে জুয়ায় ডুবে থাকে। টাকা-পয়সা খোয়ানো কিংবা বিপত্তি সত্ত্বেও জুয়া ছাড়তে পারে না অনেকে। ড্রাগের আসক্তির মতো এটি। মানসিক অব্যবস্থার বিভিন্ন ভাগ বা পর্যায়, যেমন ডিএসএম-৫ (ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিক্যাল ম্যানুয়াল অব মেন্টাল ডিসঅর্ডার) এবং আইসিডি-১০ (ইন্টারন্যাশনাল ক্লাসিফিকেশন অব ডিজিজ) অনুযায়ী, জুয়া খেলার তাড়নাকে একপ্রকার আসক্তি বলে বিবেচনা করা হয়। ২-৩ শতাংশ মানুষ শুরুতে আনন্দের জন্য জুয়া খেলে। ক্রমে তা অনারোগ্য মানসিক রোগে পরিণত হয়।

২০১৪ সালে এক গবেষণা থেকে জানা যায়, জুয়ার নেশা যখন জুয়াড়ির ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং দৈনন্দিন জীবনে নিরানন্দের কারণ হয়ে ওঠে তখন তা গুরুতর সমস্যায় পরিণত হয়। জুয়া ঘিরে ৮৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে সৃষ্ট সমস্যা একজন জুয়াড়ির জীবনে ২৫ বছর বয়সের আগেই শুরু হয়। বিশেষ ধরনের বয়ঃসন্ধির ছেলেমেয়ের জীবনে জুয়া খেলা ঘিরে নানা সমস্যার জন্ম হয়।

বিশ্বব্যাপী সর্বনিম্ন জুয়া খেলার বয়স ১৬-২১ বছরের মধ্যে। খরিদ্দারেরা ক্যাসিনো গেমস দিয়ে জুয়া খেলে থাকে। কিছু ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা বা দক্ষতারও প্রয়োজন হয়। বেশির ভাগ গেমস গাণিতিকভাবে এমনভাবে বিন্যাস করা থাকে, যাতে জুয়াড়িদের চেয়ে বাড়িগুলো বেশি সুবিধা পায়। এ সুবিধাকে ‘হাউজ এজ’ বলা হয়। পোকারের মতো খেলাগুলো যেখানে একজন খেলোয়াড় অপর খেলোয়াড়ের সাথে খেলে; সেখানে বাড়িগুলো ‘রেক’ নামে কমিশন নেয়। স্লট মেশিন বা ভিডিও লটারি মেশিন ক্যাসিনোর অন্যতম জনপ্রিয় জুয়া। আধুনিক স্লট মেশিন বাহ্যিকভাবে খুবই আকর্ষণীয়।

জুয়া খেলার আধুনিক রূপ হচ্ছে ক্যাসিনো। এটি বিভিন্ন ধরনের জুয়া খেলার একটি নির্দিষ্ট স্থান; যাকে বাংলায় জুয়ার আড্ডা বা আসর বলা যেতে পারে। সেটি হয় বৃহৎ পরিসরে। সাধারণত ক্যাসিনো এমনভাবে বানানো হয়, এর সাথে কিংবা পাশাপাশি হোটেল, রেস্টুরেন্ট, শপিংমল, আনন্দভ্রমণের জাহাজ এবং অন্যান্য পর্যটন আকর্ষণ থাকে। কিছু ক্যাসিনোতে বিনোদনের ব্যবস্থা আছে, যেমন- স্ট্যান্ডআপ কমেডি, কনসার্ট, খেলাধুলা ইত্যাদি। এর পরিবেশ এমনভাবে সাজানো থাকে, যে কেউ একবার গেলে শুধু টাকা ওড়াতে মন চাইবে। দুনিয়ার সুপরিচিত সব ক্যাসিনোতে মদের ফোয়ারা নামে, চলে নগ্ননৃত্যও। ধনী থেকে ফকির হওয়ার ‘সহজ উপায়’ নিয়মিত ক্যাসিনোতে যাওয়া। বর্তমান যুগে আমেরিকার লাসভেগাস বা মরক্কোর ক্যাসাব্লাঙ্কা নগরীর সাথে ক্যাসিনো কথাটি লেপটে আছে।

ক্যাসিনো ইতালি ভাষার শব্দ। মূল শব্দ ক্যাসা, মানে অর্থঘর। সর্বপ্রথম ক্যাসিনোর প্রচলন ইতালির ভেনিসে ১৬৩৮ সালে। ১৭৭৪ সালে এটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। জার্মান ও স্প্যানিশ ভাষায় ক্যাসিনো বা কাসিনো দিয়ে ‘অফিসার মেস’ বোঝানো হয়। শব্দটি দিয়ে ছোট ভিলা, গ্রীষ্মকালীন ঘর কিংবা সামাজিক ক্লাবও বোঝানো হয়ে থাকে।

উনিশ শতকের দিকে ‘ক্যাসিনো’ বলতে এমন সব ভবনকে বোঝানো হতো; যেখানে আনন্দদায়ক সব কাজকর্ম হতো; যেমন নগরের সামাজিক অনুষ্ঠান যেখানে নাচ, গান, জুয়া ইত্যাদির ব্যবস্থা থাকত। আধুনিক সময়ে ইতালিতে একাধিক অর্থে ক্যাসিনো ব্যবহার করা হয়। যেমন পতিতালয় (ক্যাসা চুইসাও বলে, যার অর্থ বন্ধবাড়ি) ও শব্দপূর্ণ পরিবেশ। তারা জুয়ার আসর বোঝাতে ভিন্ন উচ্চারণে ক্যাসিনো বলে। সব ক্যাসিনোই জুয়া খেলার কাজে ব্যবহার করা হতো না। ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা কাতালিনা দ্বীপের কাতালিনা ক্যাসিনোতে কখনো জুয়া খেলা হয়নি। কারণ, যখন এটি নির্মাণ করা হয়, সে সময় ক্যালিফোর্নিয়ায় জুয়া খেলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। ডেনমার্কের কোপেনহেগেন ক্যাসিনো থিয়েটার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ১৮৪৮ সালের আন্দোলনের সময় এখনকার গণজমায়েতের কারণে এটি পরিচিত। এই আন্দোলন ডেনমার্ককে একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্রে পরিণত করেছে। ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত এটি ডেনিশ থিয়েটার নামে সুপরিচিত ছিল। ফিনল্যান্ডের হাংকো ক্যাসিনোতেও কখনো জুয়া খেলা হয় না। ১৯ শতকের শেষের দিকে এটি স্পা রিসোর্ট হিসেবে ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে এটি রেস্তোরাঁ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

আমেরিকায় স্যালুন নামে প্রথম জুয়াবাড়ি নির্মিত হয়। চার প্রধান শহর নিউ অরলিয়েন্স, সেন্ট লুইস, শিকাগো এবং সানফ্রান্সিসকোয় এগুলো গড়ে তোলা হয়। এসব স্যালুনে আগত ব্যক্তিরা পান করত, আড্ডা দিত এবং প্রায়ই জুয়া খেলত। ১৯৩১ সালে সে দেশের নেভাদায় জুয়া খেলার বৈধতা দেয়া হয়। সেখানে প্রথম আইনসিদ্ধ আমেরিকান ক্যাসিনো নির্মিত হয়। ১৯৭৬ সালে নিউজার্সি আটলান্টিক শহরে জুয়া খেলা অনুমোদন করা হয়। এটি বর্তমানে আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহৎ ‘জুয়াবাড়ি শহর’। আর আধুনিক ক্যাসিনোর কথা উঠলে শুরুতেই আসবে লাসভেগাসের কথা। দুনিয়াজোড়া এর পরিচিতি।

ইদানীং এশিয়ার অনেক দেশে জুয়া খেলা ছড়িয়ে পড়েছে। নেপাল, ভারত, চীন, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া জুয়ার দিক দিয়ে এগিয়ে। সব বয়সী মানুষের দেখা মিলে এসব ক্যাসিনোতে। কোটি কোটি টাকা ওড়াতে আর মনোরঞ্জনে ক্যাসিনোতে আসে লোকজন। এশিয়ায় সবচেয়ে বড় জুয়ার আসর কাঠমান্ডুতে এবং নেপালি ক্যাসিনোর বিশ্বজোড়া পরিচিতি। এসব আসরে বেশি জুয়ায় মেতে ওঠে পর্যটকেরা। অনেকে এক রাতেই ‘রাজ্যের রাজা’ বনে যায়, অনেকে হয় ফকির। ২৪ ঘণ্টাই চলে জুয়ার আসর। জুয়াড়িরা মদের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকে। বিশ্বে যত ক্যাসিনো রয়েছে, দ্য ভ্যালেন্তিয়ান এর অন্যতম। চীনের এই ক্যাসিনো জুয়াড়িদের একটি প্রধান আকর্ষণ। প্রতি রাতে চলে সব রোমাঞ্চকর আয়োজন। এটি পাঁচতারকা মানের হোটেল। সমগ্র পৃথিবী থেকে ধনকুবেররা ভিড় জমায় এ ক্যাসিনোতে। এক ডলার থেকে এক হাজার ডলার পর্যন্ত বাজি ধরা যায় এখানে। কেউ পাঁচ লাখ ডলার পর্যন্ত প্লে-আউট করে থাকে।

একটি মুসলিমপ্রধান দেশ হওয়া সত্ত্বেও জুয়া বাংলাদেশে অতিপরিচিত শব্দ। যেখানে সেখানে, অলিগলিতে তাকালে এর দেখা মেলে। কয়েক দশক আগেও এটি এত খোলামেলা ছিল না। তবে এ দেশে জুয়ার আসর বসলেও ক্যাসিনোর কথা শোনা যায়নি। বাংলাদেশের মানুষ গণমাধ্যমের সুবাদে ক্যাসিনো শব্দের সাথে বছর তিনেক আগে পরিচিত হয়েছে। দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮১০ কোটি টাকা চুরির ঘটনা আমাদের মনে আছে। খোয়া যাওয়া ওই টাকা ফিলিপাইনের ক্যাসিনোতে ওঠার ব্যাপারে দেশী-বিদেশী গণমাধ্যমে খবর বেরোয়। ‘রাখাল বালক’ খ্যাত সে সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর দেশের টাকা রক্ষায় যথাযথ ‘রাখালী’ করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন।

ঢাকা হচ্ছে ‘মসজিদের নগরী’। সেই নগরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এবার এ যাবৎ মিলেছে ৬০টির মতো ক্যাসিনোর সন্ধান। কিন্তু ঢাকার খানদানি ঐতিহ্যের সাথে ক্যাসিনো বড়ই বেমানান। তবু মানতেই হচ্ছে, মসজিদের এই নগরীতে ক্যাসিনোর অস্তিত্ব অবাঞ্চিত বাস্তবতা। এগুলোর পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন বর্তমান শাসকদলের অনেক মহান(!) নেতা। তাদের তত্ত্বাবধানে এগুলো চলত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চলমান অভিযানের কারণে এর মধ্যে কারো কারো নাম সাধারণের কানে এসে পৌঁছেছে। তবে অভিযানকারীদের টক-ঝাল-মিষ্টি কথা হজম করতে হয়েছে। জীবনানন্দের কবিতা ‘বনলতা সেন’-এর ভাষায় বলা হয়নি- ‘এত দিন কোথায় ছিলেন?’ বলা হলো, ‘এত দিন কি আঙুল চুষেছে?’ উল্লেখ্য, জুয়া দেশের প্রচলিত আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ।

জুয়ার আসর আর ক্যাসিনোর গ্যাম্বলিংয়ের মধ্যে তফাত আছে। জুয়ার আসর জমাতে সে রকম জাঁকালো কোনো জায়গা লাগে না। গ্রামে সড়কের পাশে, বড় গাছের নিচে গামছা পেতে তাসের মাধ্যমে জুয়া খেলার দৃশ্য অপরিচিত নয়। প্রচলিত জুয়ার আসর রাস্তার ধার থেকে অভিজাত মহলেও বসে। অপরদিকে, ক্যাসিনো হলো উচ্চ শ্রেণীর আখড়া। সেখানে যন্ত্রের মাধ্যমে লাখ টাকার বাজি ধরা হয়। ঢাকার কয়েকটি ক্লাবসহ নির্দিষ্ট স্থানে জুয়ার আসর বসে, এটি জানা ছিল দেশবাসীর। কিন্তু ক্যাসিনো নামটি কখনো শোনা যায়নি। সংবাদমাধ্যমের খবর, পুলিশ পাহারায় চলত এসব জুয়ার আসর। রাজধানীর অনেক ক্লাবের প্রচলিত জুয়ার আসরকে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও উপকরণে সজ্জিত করে ক্যাসিনোতে রূপান্তরিত করেছে প্রধানত একদল নেপালি।

মদ-জুয়া সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের নির্দেশ হচ্ছে- ‘লোকেরা তোমাকে জিজ্ঞেস করে মদ ও জুয়া সম্পর্কে। বলো, এ দুয়ের মধ্যে বড় ধরনের পাপ রয়েছে। কিছু উপকারও রয়েছে। তবে উপকারের চেয়ে গুনাহ বেশি’ ( সূরা বাকারা : ২১৯ আয়াত)। সূরা মায়েদার ৯০ নং আয়াতে বলা হয়েছে- ‘হে বিশ্বাসীরা, মদ, জুয়া, পূজার বেদি ও ভাগ্য নির্ধারণকারী শর হচ্ছে শয়তানের কাজ; সুতরাং তা তোমরা বর্জন করো। আশা করা যায়, এতে তোমরা সফল হতে পারবে।’ আল কুরআনে কঠোরভাবে বলা হয়েছে, ‘মদ ও জুয়ার মাধ্যমে শয়তান তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বৈরিতা সৃষ্টি করতে চায়। আর বাধা দিতে চায় আল্লাহর স্মরণ ও সালাত থেকে। তবে কি তোমরা এখনো ফিরে আসবে না?’ ( সূরা মায়েদা : আয়াত-৯১)। সমাজকে মদ-জুয়ার পঙ্কিলতামুক্ত করতে আল্লাহ তায়ালা ধীরে ধীরে একটি জাহেলি সমাজ থেকে কিভাবে তা দূর হবে সে জন্য পবিত্র কুরআনে নির্দেশনা দিয়েছেন। অথচ আমরা মুসলিমপ্রধান দেশ হয়েও তা বেমালুম ভুলে গেছি। ফলে বর্তমানে সমাজে যে নৈতিকতার ধস নেমেছে; তা আমাদের নিজেদের কাজের কুফল ছাড়া আর কিছুই নয়। জুয়ায় হার-জিত যা-ই ঘটুক না কেন, পরিণতি সর্বনেশে। জুয়া খেলে টাকা-পয়সা, ঘরবাড়ি, সহায়-সম্পদ হারিয়েছেন, এমন নজির ভূরিভূরি। মাদকের মতো জুয়াও যদি সারা দেশে বিষবৃক্ষের ডালপালা মেলে, তবে কি আর রক্ষা আছে? এর বিধ্বংসী ক্ষমতা সর্বপ্লাবী ও সর্বগ্রাসী।

[email protected]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।