শিক্ষা-ক্ষেত্রে বিরাজমান সকল বৈষম্য থেকে মুক্তির এক মাত্র পথ,এক যোগে সকল বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা।এ দেশের সকল সেক্টর যখন ডিজিটালাইজ্ড নিয়ে মাতামাতি তখন এদেশের ৯৭% শিক্ষা ব্যবস্থার করুন পরিনতি!

দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা অনুন্নত রেখেই ডিজিটাল দেশ গড়ার স্বপ্ন কতটা যুক্তি সংগত তা বলার এখতিয়ার আমি এ দেশের ১৮ কোটি মানুষের উপরই না হয় ছেড়েই দিলাম।

স্বাধীন বাংলার স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ মানব, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন নিয়ে এ দেশ স্বাধীন করেছিলেন তার অনেক স্বপ্নই বাস্তবায়ন করেছেন,তারই যোগ্য উত্তরসূরী বর্তমান বিশ্বের আলোচিত, সাহসি মাদার অব হিউম্যানেটি খ্যাত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।তার বুদ্ধিদীপ্ত,কৌশলি নেতৃত্বে রকেট গতিতে এগিয়ে চলেছে আমাদের মাতৃভূমি, সেই জন্য বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে তাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

সকল ক্ষেত্রে যখন দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে তখন বেসরকারী শিক্ষক সমাজকে নিয়ে চলছে অবহেলা,অত্যাচার,নিপীরণ,নির্যাতন,অপমান লাঞ্ছনা-গঞ্ছনা। কি করে এসব অত্যাচার, অনাচার মেনে নিবে বেসরকারী শিক্ষাক সমাজ।এ সেক্টর যতদিন জাতীয়করণ না হবে তত দিন বেসরকারী শিক্ষক সমাজের সামাজিক মান-মর্যাদা ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত হবে না।

শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার হলে,সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীকরণও তো শিক্ষকদের অধিকার বলে আমি মনে করি। আমাদের সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অপ-প্রয়াসে লিপ্ত হয়েছে এ দেশেরই গুটি কয়েক শিক্ষা বিমাতা-সুলভ নাগরিক। তারা সরকারের অভ্যন্তরে মিশে এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করতে চায়।তাদের এই অপ-কর্ম,আমরা কিছুতেই সফল হতে দিতে পারি না, হতে দিব না!

শিক্ষক সমাজকেই দায়িত্ব নিতে হবে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করে সমৃদ্ধশীল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সমগ্রহ শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ আদায় করে নিতে হবে।

সাধারন সম্পাদক
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি(নজরুল)
চট্টগ্রাম বিভাগ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।