বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদ উল আলমের নির্দেশে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কর্তনের অভিযোগ করেছে ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।

জানা যায় ৮ এপ্রিল  লামা -সুয়ালক সড়কের কম্পানিয়া হতে আন্ধারী থেকে হিমছড়ি -কেয়াজুপাড়া বাজার পর্যন্ত গাছ গুলো কাটা হয়।
গাছ কাটার বিষয় টি ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে মুঠোফোনে অবহিত করে। বিষয়টি জেনে গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশ দেয় চেয়ারম্যান কে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর এ জান্নাত রুমি মুঠোফোনে গাছ কাটার বিষয়ে বলেন, ঘটনা জানার সাথে সাথে লামা থানা পুলিশ কে ঘটনাস্থলে যেতে বলেছি। তবে  থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন ইউএনও  আমাকে এই বিষয়ে কোন কিছুই বলেন নি। কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ভাবে ব্যবস্হা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী নাজিম উদ্দীন জানায় কয়েক টি গাছ কাটা হয়েছে।

 বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জানায়, সড়কে গাছ কাটার বিষয় টি জানা নেই।তবে কোন সরকারী প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটার প্রয়োজন হলে  বন বিভাগে আবেদন করতে হয়।ব্যাক্তি গত মালিকের গাছ কাটার সময় ও জোত পারমিট করতে হয়।

সংগঠিত বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার আছে কি না, জানতে চাওয়া হলে বন কর্মকর্তা  বলেন কারো ঘর চুরি হলে ঘরের মালিক  থানায় গিয়ে অভিযোগ করবেন।

অবৈধ ভাবে গাছ কাটার বিষয়ে এ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এ বিষয়ে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্হানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলীর দাপ্তরিক ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তারা ব্যাস্ত থাকায় বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয় নি।

এদিকে ইউপি চেয়ারম্যানের বক্তব্য জানতে মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন করা হলে ও রিসিভ করেনি।

তবে এ বিষয়ে দফাদার মোবারক আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমাকে চেয়ারম্যানের আদেশ শুনতে হয়।

সড়কে গাছ কাটার বিষয়ে উচ্চ আদালতে রিট করবেন বলে জানিয়েছে আইনজীবি আরশাদ হোসেন।

আমাদের বাণী-আ.আ.হ/মৃধা

[wpdevart_like_box profile_id=”https://www.facebook.com/amaderbanicom-284130558933259/” connections=”show” width=”300″ height=”550″ header=”small” cover_photo=”show” locale=”en_US”]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।