পটুয়াখালীর কুয়াকাটা খাজুরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭জন শিক্ষকের পরিবর্তে রয়েছে মাত্র ৪জন শিক্ষক। চার জন শিক্ষকের মধ্যে প্রধান শিক্ষক প্রায়ই থাকেন অফিসিয়ালি কাজে ব্যস্ত। তাই তিন শিক্ষক দিয়েই চলছে পাঠদান কার্যক্রম। আর এ তিনজন শিক্ষক অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পাঠদান দিতে হিমসিম খাচ্ছে। ফলে শিক্ষক সংকটে ব্যহত হচ্ছে পাঠদান কার্যক্রম।

জানা যায়, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে শিক্ষা বিস্তার লাভে পরীক্ষামূলক জনগুরুত্বপূর্ন এলাকার অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ৮ম শ্রেণিতে উন্নীত করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় পর্যটন নগরী কুয়াকাটার অদূরে খাজুরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০১২সালে ৫ম শ্রেনী থেকে ৮ম শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়। বর্তমানে স্কুলের শিক্ষার্থীর সংখ্যা রয়েছে ৩২০জন। ৩২০জন শিক্ষার্থীদের পাঠদানে রয়েছে ডেপুটেশনের ১জন ও প্রধান শিক্ষকসহ মাত্র ০৪ জন শিক্ষক।

 কুয়াকাটা খাজুরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়

সরেজমিনে সোমবার ওই স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে শিশু শ্রেনী, প্রথম শ্রেনী, দ্বিতীয় শ্রেনী, ষষ্ঠ শ্রেনী, সপ্তম শ্রেনী ও অষ্টম শ্রেনীর পাঠদান কার্যক্রম। তৃতীয় শ্রেনী, চতুর্থ শ্রেনী ও পঞ্চম শ্রেনীর পাঠদান শুরু হবে বেলা ১২টায়। প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী আরও তিন শিক্ষক একযোগে শিশু শ্রেনী, ষষ্ঠ শ্রেনী, সপ্তম শ্রেনী ও অষ্টম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের পাঠদান দি”েছন। আর দ্বিতীয় শ্রেনীতে পাঠদান দি”েছন ওই স্কুলের দপ্তরী ছাবের হোসেন। বাকি প্রথম শ্রেনী রয়েছে শিক্ষক শূন্য। আর এ প্রথম শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা চেচামেচিতে ব্যস্ত। আবার অনেক সময় প্রধান শিক্ষক অফিসিয়ালি কাজে ব্যস্ত থাকলে কিংবা কোন শিক্ষক ছুটিতে থাকলে অথবা দপ্তরী ছাবের হোসেন তার কাজে ব্যস্ত থাকলে তখন শ্রেনী কক্ষগুলোতে থাকে শিক্ষক সংকট। এভাবে প্রায় দেড় বছর যাবৎ চলছে ওই স্কুলের পাঠদান কার্যক্রম। বার বার উপজেলা শিক্ষা অফিসকে অবহিত করেও ওই স্কুলের শিক্ষক সংকটের সমাধানে এগিয়ে আসেনি শিক্ষা অফিস এমনই দাবি করেছেন ম্যানেজিং কমিটিসহ অভিভাবকরা। ফলে কাংখিত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা। তবে দ্রƒত সময়রের মধ্যে শিক্ষকের শূন্য সংখ্যা পূরন করে ওই স্কুলের শিক্ষক সংকট সমাধানে এগিয়ে আসবে উপজেলা শিক্ষা অফিস এমনটাই মনে করেছেন শিক্ষকসহ এলাকাবাসী।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাবুদ্দিন বলেন, শিক্ষক সংকটের বিষয় একাধিকবার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলেও এখন পর্যন্ত কোন সমাধান পা”িছ না। আমার স্কুলে বর্তমানে ৪জন শিক্ষক আছে। এত স্বল্প শিক্ষক দিয়ে সঠিকবাবে পাঠদান সম্ভব হচ্ছে না।

স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছালাম গাজী বলেন, শিকক্ষ সংকটের ব্যাপারে শিক্ষা ডিপার্টমেন্টের বিভিন্ন দপ্তরে বার বার যোগাযোগ করেও কোন ফল পাইনী। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শুধু দিচ্ছি দিব বলে অদ্য পর্যন্ত আশ্বাস দিয়ে আসছে। অথচ এমনও স্কুল রয়েছে যেখানে প্রাথমিক পর্যায় দশের অধিক শিক্ষক রয়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আবুর বাশার বলেন, শিক্ষক সংকটের বিষয়টি অবগত আছি, তবে পহেলা আগস্ট সমন্বয় সভা হবে সে সভায় ওই স্কুলে আরও দুইজন শিক্ষক দেয়ার ব্যবস্থা করব।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।