শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, “শিক্ষা যেন দৃষ্টিভঙ্গিকে সংকীর্ণ না করে। আমাদের এমন মানসিকতা সৃষ্টি হয়, লেখাপড়া করে সুন্দর কাপড় পড়ে, চেয়ার-টেবিলে বসে সুন্দর অফিসে কাজ করব। পৃথিবীতে যারা সফল তারা কেউ গতানুগতিক পথে সফল হননি। জীবনে কোনো কাজকেই ছোট করে দেখবে না। আমরা যেন, ছোট গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকি।”

বৃহস্পতিবার (৩১ মে) চট্টগ্রামের র‌্যাডিসন হোটেলে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা আয়োজিত জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

‘লাইফ লং লার্নিং’ এ বিশ্বাসী হয়ে উঠতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের ক্ষুদ্র ভৌগলিক পরিসরে ১৬কোটির বেশি মানুষ যে খেয়ে পড়ে বেঁচে আছে এটা জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার ফল। এই বয়সেও তিনি প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতির উপযোগী কর্মপন্থা ঠিক করছেন। ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে তিনি কৃষিতে ভর্তুকি দিয়েছিলেন বলে আজ আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তিনি লাইফ লং লার্নিং এ বিশ্বাসী।”

কোনো পেশাকে অবজ্ঞা না করতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে নওফেল বলেন, “আমরা ভাবি, আমরা মেধাবী। তাই কৃষি কাজ করব না। আমরা অনেক যোগ্য, অন্য কিছু করব। যতই আমরা উন্নত হই, যতই ভার্চুয়াল রিয়ালিটি আসুক, খাদ্য ছাড়া কেউ বাঁচবে না।

নওফেল বলেন, “আমরা বেশি গতানুগতিক পথে হাঁটি। কারও খেলায় আগ্রহ, কারও ছবি আঁকায়। চমৎকার রেজাল্ট হয়েছে তোমাদের। এবার জীবনের এত চাপের বাইরে এসে সুকুমার বৃত্তির প্রকাশ এরকম কিছু একটার চর্চা করতে হবে।

বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার সভাপতি সাজ্জাত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, আওয়ামী লীগের উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সাংসদ খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মরিয়ম ইসলাম লিজা, চিত্রনায়ক ফেরদৌস প্রমুখ। অনুষ্ঠানে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া ৯৮৩ জন শিক্ষার্থীকে অনুষ্ঠানে সনদ ও ক্রেস্ট দেয়া হয়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।