ঝিনাইদহ সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে টাকার বিনিময়ে গোপনে ছাত্র ভর্তির তথ্য ফাঁস হয়ে পেড়েছে। এ নিয়ে অভিভাবকদের মাঝে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুজ্জামান সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা ভঙ্গ করে বিভিন্ন শ্রেনীতে ১০ জনেরও বেশি ছাত্র অর্থের বিনিময়ে ভর্তি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগের কপি দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্লাসে গিয়েও নীতিমালা বর্হিভুত ভর্তির সত্যতা মিলেছে। ভর্তিকৃত ছাত্রদের মধ্যে রয়েছে, তৃতীয় শ্রেনীর দিবা শাখায় ৬০ নং রোল অনিন্দ কর্মকার, ৫৯ নং রোল সৈকত চক্রবর্তী, প্রভাতি শাখায় ৬৬ নং রোল কাজী তাহসিন রহমান, ৬৫ নং রোল তীর্থ কুন্ডু, ৬২ নং রোল মাহি, ৬৩ নং রোল মাহির, ৭ম শ্রেনীর দিবা শাখায় খ-৫৭ নং রোল সৈয়দ মুক্তাদির ইসলাম আপন, একই শ্রেনীর প্রভাতি শাখায় খ-৫৭ নং রোল তাহমিদ ইয়াদ, চতুর্থ শ্রেনীর দিবা শাখায় ৬০ নং রোল জুনায়েদ মাহমুদ লনি ও ৬১ নং রোল অর্ঘ্য শ্রেষ্ঠ রায়। ভর্তিকৃত এ সব ছাত্রদের নাম জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে নেওয়া এডমিশন পরীক্ষার মেধা তালিকায় নেই। ফলে প্রমানিত হয় অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক এ সকল শিক্ষার্থী ভর্তি করেছেন।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে শিক্ষা সচিব সাক্ষরিত সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালার ২৫ নং ক্রমিকে উল্লেখ করা আছে, সরকারী কর্মকর্তাদের আন্তজেলা বদলীর কারণে বদলীকৃত কর্মস্থলের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার উপ-পরিচালক অথবা যে জেলায় উপ-পরিচালক নেই সেখানে জেলা শিক্ষা অফিসারের প্রত্যায়নক্রমে কর্মকর্তা কর্মচারীদের সন্তানদের ভর্তির সুযোগ থাকবে। তবে শুন্য আসনের অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না। অনিবার্য্য কারণে স্কুলে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করতে হলে মন্ত্রনালয়ের পুর্বানুমতি গ্রহন করতে হবে। প্রাপ্ত তথ্য মতে ঝিনাইদহ সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে যে ১০ জন ছাত্র ভর্তি করা হয়েছে তারা কেও সরকারী কর্মকর্তা বা কর্মচারীর সন্তান নয়। তারা শহরের ব্যাবসায়ী ও ঠিকাদারদের সন্তান বলে অনুসন্ধান করে জানা গেছে। আর্থিক সুবিধা নিয়ে প্রধান শিক্ষক মিজানুজ্জামান তাদের ভর্তি করেছেন। এমনও অভিযোগ উঠেছে ছাত্র ভর্তি করতে দুই থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ভর্তি হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সরকারী বালক বিদ্যালয়ের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুজ্জামান (মোবাইল নং ০১৭১৫৪৮৯৩৮৩) ভর্তির তথ্য স্বীকার করে বলেন, আমার একক সিদ্ধান্তে এই ভর্তি হয়নি। এছাঢ়া টাকার বিনিময়ে ভর্তি করার কোন সুযোগ নেই। তিনি নিজের পরিচয় জাহির করে বলেন আমি এই জেলারই সন্তান। শৈলকুপার গাড়াগঞ্জে আমার বাড়ি। এক এমপি আমার আত্মীয়। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমার বন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আমার খালু।

[wpdevart_like_box profile_id=”https://www.facebook.com/amaderbanicom-284130558933259/” connections=”show” width=”300″ height=”550″ header=”small” cover_photo=”show” locale=”en_US”]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।