বাংলাদেশে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ৭ বছর পর এখনো সে ঘটনার তদন্তের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্তের চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য গত সাত বছরে ৬০ বারের বেশি সময় নিয়েছেন।

২০১২’র ফেব্রুয়ারিতে নিজেদের বাসায় সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার আর মেহেরুন রুনি খুন হওয়ার পর বাংলাদেশের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের একটি মন্তব্য ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করেছিল।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে গিয়ে সেসময়কার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছিলেন, ৪৮ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

আজ সাগর-রুনি হত্যার সাত বছর পরও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সেই প্রতিশ্রুতির ছিঁটেফোটা বাস্তবায়নও হয়নি। দোষীদের আইনের আওতায় আনা তো অনেক দূরে, সাত বছরে এখন পর্যন্ত ঐ হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনই জমা দেয়নি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত অগ্রগতির প্রতিবেদন ১৪ নভেম্বর। মঙ্গলবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকার সিএমএম মামলা সংক্রান্তে কোনো প্রতিবেদন দাখিল করেননি। সে জন্য ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস মামলার নথি পর্যালোচনা করে উপরোক্ত মর্মে তারিখ ধার্য করেন। সাত বছর পরও মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের কোনো অগ্রগতি নেই।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার রুনা ওরফে মেহেরুন রুনি দম্পতি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ বাসায় খুন হন। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপপরিদর্শক (এসআই)। চার দিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।