জিকরুল হক, উত্তরাঞ্চল সংবাদদাতা;  সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে সৈয়দপুরে পৌর পরিষদের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নীলফামারীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহমুদ আলম বাদী হয়ে এই ডায়েরী করেন। গত ২৩ জুন রাতে এ সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

প্রকৌশলী মো. মাহমুদ আলম জানান, সৈয়দপুরে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থাকার কারণে সৈয়দপুরে আঞ্চলিক পানি শোধনাগার, ভিআইপি রেস্ট হাউস ও কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। এজন্য যথানিয়মে দরপত্রও আহ্বান করা হয়। দেয়া হয় ঠিকাদারকে কার্যাদেশ। এই কাজের ঠিকাদার ওবায়দুর রহমান কাজ করার নিমিত্তে শহরের নিয়ামতপুর ও বাঙ্গালীপুর মৌজায় অধিদপ্তরের নিজ জমিতে নির্মাণ সামগ্রী রেখে গত ২৩ জুন কাজ শুরু করেন। এমন অবস্থায় দুপুর আনুমানিক সোয়া দুইটার সময় পৌরসভার কাউন্সিলরসহ কর্মচারীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজে বাধার সৃষ্টি করে। এমনকি পরীক্ষাগারের অস্থায়ী স্থাপনা ভাংচুর করে।

এ সময় হামলাকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা জানায়, পৌরসভার অনুমতি ছাড়া কোন নির্মাণ কাজ হবে না। অথচ অধিপ্তরের নিজ ভূমিতে কোন উন্নয়নমূলক কাজ করতে অন্য কোন সংস্থার অনুমোদনের প্রয়োজন নেই। পৌর কর্তৃপক্ষ সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করেছে। যা পুরোপুরি বেআইনি বলে তিনি জানান।
প্রকৌশলী মো. মাহমুদ আলম আরো জানান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বিগত ১৯৬১-৬২ অর্থ বছরে সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর ও নিয়ামতপুর মৌজায় চারটি দাগে তিন একর ২৪ শতক জমি অধিগ্রহণ করে। দাগগুলোর নং ৬৩৭, ০১, ১০ ও ১/১২৮৯। এর মধ্যে এক একর ০৯ শতক জমির বিএস রেকর্ড জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নামে প্রচারিত রয়েছে। অবশিষ্ট দুই একর ১৫ শতক জমি বিগত ১৯৯০ সালে পৌরসভার নামে বিএস রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত হয়। ওই রেকর্ড সংশোধন করতেও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর আইনী উদ্যোগ নিয়েছে।

সরকারি কাজে বাধা প্রদান প্রসঙ্গে মন্তব্য জানতে কথা হয় সাবেক পৌর মেয়র ও সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আখতার হোসেন বাদলের সঙ্গে। তিনি জানান পৌর কর্তৃপক্ষের এমন কর্মকান্ডে আমরা হতবাক হয়েছি। যা আইন অমান্য করার সামিল।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন সরকারের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করেও সংযোগ না মেলায় মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত খান জিডি করার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আমাদের বাণী ডট কম/২৭  জুন ২০২০/পিপিএম 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।