ডেস্ক রিপর্ট, ঢাকা; করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে, ব্যবস্থা নিয়েছে বলেই আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুহার কম বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
- আজ মঙ্গলবার (৩০ জুন ২০২০) জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে মঞ্জুরি প্রস্তাবের উপর ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধীদলের সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন সমালোচনার জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী একথা জানান।
এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সম্প্রতি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্সদের থাকা-খাওয়ার বিলে যে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে তাও সঠিক নয় বলে জানান।
- স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চীনে কোভিড শুরু হওয়ার পর থেকেই আমরা বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছি। বন্দরগুলোতে স্ক্যানের ব্যবস্থা করেছি। অন্য কোনো দেশ তখনও এটা করতে পারেনি। আমরাই প্রথম এটা করেছি। চায়না থেকে লোক দেশে এলে আমরা তাদর কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা করেছি। আমরা কাজ করছি না এই অভিযোগ ঠিক না।
‘ডাক্তার নার্সরা প্রথমে আক্রান্ত হয়েছেন কারণ তারা পিপিই কীভাবে পরতে হয় জানতো না। আমরা তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। পেশেন্ট গাইড, লিফলেট, ব্যানার করেছি। প্রতিদিন প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। মানুষকে করোনা সম্পর্কে সচেতন করেছি।’
- তিনি বলেন, এই করোনা ভাইরাসের ৮০ শতাংশ উপসর্গ বোঝা যায় না। ১৫ শতাংশের উপসর্গ মাইল্ড। আমাদের দেশে মুত্যুর হার কম, ১ দশমিক ২৬। এই মুত্যুর হার এমনি কম না, আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি তাই মৃত্যুর হার কম।
‘আমাদের একটি টেস্ট ল্যাব ছিল। দেড় মাসে আমরা ৬৮টি ল্যাব করেছি। কোটি কোটি মানুষকে তো আর টেস্ট করতে পারবো না। দেশে ৪শ ডেন্টিলেটর রয়েছে। কাজে লাগে মাত্র ৫০টি। সাড়ে তিন শটি পড়ে থাকে। যারা ভেন্টিলেশনে যান দেখা গেছে তারাই মারা গেছেন। কোনো হাসপাতালে সেবা পাচ্ছে না এমন কোনো বিষয় নেই। আমাদের ১৪ হাজার বেড আছে, রোগী আছে ৪ হাজার। মানুষ যদি সচেতন হয়, মাস্ক পরে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে তাহলে সংক্রমণ কমে যাবে।
- ‘আমরা কিছু করিনি এটা ঠিক না। বসুন্ধরা হাসপাতাল বানালাম কীভাবে। মাত্র ২৫ দিনে ২ হাজার বেডের হাসপাতাল বানিয়েছি। আমরা কোথাও যাইনি এটা ঠিক নয়।’
জাহিদ মালেক বলেন, বিএনপির সদস্য স্বাস্থ্য বিভাগের কথা বলছেন কিন্তু বিএনপির আমলে কমিাউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে আবার সেগুলো চালু করা হয়েছে। সারা দেশে হাসপতালে আরও ২৫ হাজার বেড বাড়ানো হয়েছে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, সবার সহযোগিতা চাই।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের সর্বশেষ (৩০ জুন ২০২০) তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৪ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। ফলে ভাইরাসটিতে মোট ১৮৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৬৮৩ জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৪৮২ । আজ নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৮ হাজার ৪২৬ টি যা গতদিনে ছিল ১৭ হাজার ৮৩৭ টি । এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৮৪৪ জন। এতে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৫৯ হাজার ৬৪০ জনে।
আমাদের বাণী ডট কম/৩০জুন ২০২০/পিপিএম