কুমিল্লা সংবাদদাতা; জেলার হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাপ্তি চাকমা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। মোবাইল ফোনে নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউএনও তাপ্তি চাকমা।

  • ইউএনও তাপ্তি চাকমা বলেন, ‘আমার করোনা পজিটিভ এসেছে। তবে তেমন কোনো উপসর্গ নেই। শুধু সাধারণ হালকা গলাব্যথা আছে। তবে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ আছি।’

আক্রান্ত কীভাবে হয়েছেন তা ধারণা করে তিনি বলেন, ‘২২ জুন সকালে উপজেলা পরিষদের একজনের ফাইল সই করেছি, বিকেলে যার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এরপর সন্দেহবশত- গত ২৫ জুন আমিসহ আমার গাড়িচালক, পিয়ন ও নাইট গার্ডের নমুনা পরীক্ষা করাই এবং আমাদের ক্লোজ কন্টাক্টে যারা আসেন তাদেরও পরীক্ষার জন্য বলি। এরপর আমার, গাড়িচালক, পিয়ন ও নাইটগার্ডের করোনা পজিটিভ আসে।’

  • ইউএনও বলেন, ‘যেহেতু জ্বর, কাশি কিছুই নেই তাই ডাক্তার শুধু ভিটামিন, জিংক, ভিটামিন-সি এই জাতীয় ওষুধ দিয়েছেন, সঙ্গে গরম পানি খেতে বলেছেন; তাই করছি।’

করোনা রিপোর্ট পাওয়ার কিছুক্ষণ আগেও তার দু’বছর বয়সী বাচ্চাকে দুধ খাইয়েছেন। বাচ্চাটির জন্য তিনি বেশি চিন্তিত বলে জানিয়েছেন ইউএনও। তার বাসায় থাকা স্বামী, শাশুড়ি ও কাজের মেয়ে ভালো রয়েছে বলেও জানান তিনি।

  • তাপ্তি চাকমা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সচেতনতা সৃষ্টি, আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ, বিদেশ প্রত্যাগত এবং আক্রান্ত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত ও লকডাউন কার্যকরে নিরলস ভূমিকা রেখে জেলায় বিপুল প্রশংসা কুড়িয়েছেন।

গতকাল শনিবার ইউএনও তাপ্তি চাকমাসহ নতুন করে মোট ২০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৯ জনে।

এদিকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের সর্বশেষ (২৮ জুন ২০২০) তথ্য অনুযায়ী, গত গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৩ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। ফলে ভাইরাসটিতে মোট ১৭৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮০৯ জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৩৭  হাজার ৭৮৭ । গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৭ হাজার ৩৪টি আর পরীক্ষা করা হয়েছে পূর্বের মিলে ১৮ হাজার ৯৯টি। শনাক্তের হার ২১.০৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪০৯ জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৫৫ হাজার ৭২৭ জন। সুস্থতার হার ৪০.৪৪% এবং মৃত্যুর হার ১.২৬ শতাংশ। বয়স বিশ্লেষণে জানা যায়, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৩১-৪০ একজন, ৪১-৫০ সাতজন, ৫১-৬০ ১৩ জন, ৬১-৭০ ১২ জন, ৭১-৮০ সাতজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২১ জন ঢাকা বিভাগের। এরপরই আছে চট্টগ্রাম বিভাগ (১০ জন)।

আমাদের বাণী ডট কম/২৮  জুন ২০২০/পিপিএম 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।