শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসর। দুই দিন খেলার পর আজ রোববার ছিল বিরতি। সোবমার থেকে আবার মাঠে ফিরবে দলগুলো। তার আগে দেখে নেওয়া যাক তরুণ সম্ভাবনাময় পাঁচ ক্রিকেটারকে। যারা হয়তো টুর্নামেন্ট শেষে জানান দেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য তারা প্রস্তুত।২০২৩ বিপিএলের সেরা ৫ তরুণ, যারা আছেন সে তালিকায়-
২০২৩ বিপিএলের সেরা ৫ তরুণ
জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের চাহিদা তো থাকেই, বিপিএলের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে দাপট থাকে বিদেশি ক্রিকেটারদেরও। তবুও মাঝেমাঝে অখ্যাত কোনো তারকা চলে আসেন প্রাদপ্রদীপের আলোয়, নিজেও নাম লেখার তারকাদের কাতারে।
- ২০২৩ বিপিএলের সেরা ৫ তরুণ
- মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স)
- জাকির আলী (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স)
- আকবর আলী (সিলেট স্ট্রাইকার্স)
- সায়েম আইয়ুব (রংপুর রাইডার্স)
- টম মুরস (সিলেট স্ট্রাইকার্স)
এবারের 2023 বিপিএলে এমনই কয়েকজন উদীয়মান ক্রিকেটার রয়েছেন, যারা সুযোগ পেলে সুপারস্টারদের আঁধার করে নিজেদের দিকে কেড়ে নিতে পারেন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগটির সব রঙিন আলো।
এবারের বিপিএলের উদীয়মান ক্রিকেটারদের মধ্যে সবার আগে আসবে রাকিবুল হাসানের নাম। ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাজিমাত করা এই তরুণ ২০২২ সালে আরও একটি বিশ্বকাপ খেলেছেন, দলকে দিয়েছেন নেতৃত্বও।
যদিও এবার ভালো করতে পারেননি। তাতে অবশ্য তার অর্জন কমছে না মোটেও। বরং দিনদিন নিজেকে আরও শাণিত করছেন। ঘরোয়া আসরগুলোতে তার স্পিন বোলিংয়ের ধার সামলাতে খান অনেক ব্যাটার। তার ওপর ব্যাটিংটাও রাকিবুল বেশ ভালোই পারেন। বিপিএলে তিনি খেলবেন রংপুরের হয়ে।
বিপিএলজুড়ে নজর থাকবে পেসার আশিকুর জামানের ওপর। টেপ টেনিস খেলে জাতীয় পর্যায়ে উঠে আসা এই তরুণ খেলেছেন সর্বশেষ যুব বিশ্বকাপে। সাতক্ষীরার আশিকুরকে অবশ্য গতির কারণে এখন অনেকেই চেনেন।
ব্রেট লি ও মাশরাফি বিন মুর্তজাকে অনুসরণ করা এই পেসার এবার বিপিএল খেলবেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে। ২০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার ইতোমধ্যে আলো ছড়িয়েছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। সদ্য বিদায়ী বছরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে তার।
মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স)
সাতক্ষীরার এই তরুণ পেসার গত বিপিএলেই তার প্রতিভার জানান দেন। গেল বছর তিনি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে দারুণ এক টুর্নামেন্ট কাটান। টুর্নামেন্টের সেরা পাঁচ বোলারের তালিকায় ছিলেন তিনি।
সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে করেন হ্যাটট্রিক। বিপিএলের এই ফর্মটাকে টেনে নেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। সেখানে বাহাতি এই বোলার সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট পান। সর্বশেষ আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত টি-টেনে বাংলা টাইগার্সের দলেও ছিলেন ২১ বছর বয়সী এই পেসার। তবে এবার তার জন্য ফর্ম ধরে রাখার নতুন চ্যালেঞ্জ।
জাকির আলী (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স)
ব্যাটিং ফর্মের কথা বললে, বাংলাদেশে এই মুহূর্তে তার মতো কম ব্যাটারই আছে। ধারাবাহিকভাবে প্রথম শ্রেণীর সেঞ্চুরি করে বিপিএলে আসেন জাকির। অনেকেই ২৪ বছর বয়সী ডানহাতিকে সিনিয়র দলের প্রার্থী হওয়ার যোগ্য মনে করেন।
তাই একটি ফলপ্রসূ বিপিএল মৌসুম তাকে চূড়ান্ত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে পারে। তিনি চলমান বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ১৪৬ স্ট্রাইক রেটে ১৩ বলে করেন ১৯ রান। স্বাভাবিকভাবেই সামনের ম্যাচগুলোতে চোখ থাকবে এই ব্যাটারের দিকে।
আকবর আলী (সিলেট স্ট্রাইকার্স)
বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তরা আকবর আলীকে বড় মঞ্চে দেখার অপেক্ষায় আছেন তিন বছর ধরে। অনূর্ধ্ব-১৯ দলে তার অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। চাপের মধ্যে তার শান্ত আচরণ অনেকের মন জয় করেছিল। তাকে নিয়ে বলা হত তিনি সাকিব-মুশফিকদের পর বড় তারকা হবেন।
যদিও তিনি তার ফর্ম ধরে রাখতে পারেননি। তবে এই ব্যাটার হারিয়ে যেতে চাইবেন না নিশ্চয়ই। তাকে নিয়ে ভক্তদের আগ্রহের কারণটা অযথা নয় এটা প্রমাণের জন্য বিপিএল থেকে বড় মঞ্চ আর কি হতে পারে।
সায়েম আইয়ুব (রংপুর রাইডার্স)
পাকিস্তানি ওপেনার গত বছর জাতীয় টি-টোয়েন্টি কাপে সিন্ধুর হয়ে ১৫৫.২২ স্ট্রাইক রেটে ৪১৬ রান করেছিলেন। উইকেটের দুই পাশেই শক্তিশালী আইয়ুব। তাই পাওয়ারপ্লেতে যেকোনো বোলারের মাথা ব্যথার কারণ হতে পারেন। এছাড়া বড় ইনিংস খেলতেও বেশ পারদর্শী ২০ বছর বয়সী ওপেনার।
টম মুরস (সিলেট স্ট্রাইকার্স)
ইংল্যান্ডে জন্ম নেওয়া এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার সিলেট স্ট্রাইকার্সের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। বিশেষ করে দলটির ব্যাটিং লাইনআপের ভারসাম্যের ক্ষেত্রে। মুরস গত বছর ১৪টি ভাইটালিটি ব্লাস্ট ম্যাচে ১৪৩.৭৮ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছিলেন।
উপমহাদেশে ব্যাটিং করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে তার। ইতোমধ্যে, পিএসএলে মুলতান সুলতানস এবং এলপিএলে জাফনা স্ট্যালিয়ন্সের হয়ে খেলেছেন এই ব্যাটার।