নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা; গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৪ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। ফলে ভাইরাসটিতে মোট ১৬৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৫০৪ জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৭৮। আজ নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৫হাজার ১৫৭ টি যা গতদিনে ছিল ১৮ হাজার ৪৯৮ টি। যা গতদিনের তুলনায় কমে ৩৩৪১ টি নমুনা পরীক্ষা।
আজ শনিবার ( ২৭ জুন ২০২০) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, ৫৮টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৬৯টি আর পরীক্ষা করা হয়েছে পূর্বের মিলে ১৫ হাজার ১৫৭টি। শনাক্তের হার ২৩.১২ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ১৮৫ জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৫৪ হাজার ৩৫৮ জন। সুস্থতার হার ৪০.৫৪% এবং মৃত্যুর হার ১.২৭ শতাংশ।
মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানানো হয়, পুরুষ ৩২ জন ও নারী দুইজন। বয়স বিশ্লেষণে জানা যায়, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১-৪০ একজন, ৪১-৫০ ছয়জন, ৫১-৬০ ছয়জন, ৬১-৭০ ১৩ জন এবং ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে সাতজন।
এদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৩ জন ঢাকা বিভাগের। এরপরই আছে চট্টগ্রাম বিভাগ (১০ জন)। হাসপাতালে মারা গেছেন ৩০ জন এবং বাড়িতে চারজন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ৭২৬ জনকে। আইসোলেশন থেকে ছাড় দেয়া হয়েছে ২৫৯ জনকে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে ঘরে থাকার এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয় বুলেটিনে।
গতকাল শুক্রবারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪০ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। ফলে ভাইরাসটিতে মোট ১৬৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮৬৮ জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৩০ হাজার ৪৭৪ ।ত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ হাজার ৪৯৮টি নমুনা পরীক্ষা করে এসব তথ্য জানা গেছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট পরীক্ষা হয়েছে ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৯৪১টি নমুনা। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ্য হয়েছেন ১৬৩৮ জন, এনিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ্য হয়েছেন ৫৩ হাজার ১৩৩ জন।
করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে। তবে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাস ক্রমে গোটা বিশ্বকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। চীন পরিস্থিতি অনেকটাই সামাল দিয়ে উঠলেও এখন মারাত্মকভাবে ভুগছে ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল। পৃথিবীর ২১৬ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এ মরণ ভাইরাস।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর প্রথম দিকে কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর মিললেও এখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা। বাড়ছে মৃত্যুও। এদিকে ক্রমেই আক্রান্ত সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও মানুষের জীবিকার তাগিদে ৮ম দফায় ছুটি না বাড়িয়ে ৩১ মে থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে অফিস-দোকানপাট ও সীমিত পরিসরে গণপরিবহন। তবে রেড জোন চিহ্নিত করে এলাকাভিত্তিক লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আমাদের বাণী ডট কম/২৭ জুন ২০২০/পিপিএম