প্রাণঘাতী ডেঙ্গু নিয়ে দেশজুড়ে উদ্বেগের মধ্যেই মশাবাহিত এই ‘রোগ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকার’ জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের হাতে সম্মাননা তুলে দেয় ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসি নামে একটি বিতর্ক সংগঠন।

শুক্রবার এফডিসিতে ‘শুধু সরকারি প্রচেষ্টা নয়, জনসচেতনতাই পারে ডেঙ্গু প্রতিরোধ’ শীর্ষক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানের শেষে ‘ডেঙ্গু মোকাবেলায় সর্বাত্মক চেষ্টার জন্য’ তার হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন বিতর্কের আয়োজক প্রতিষ্ঠান ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

তিনি সম্মান্না প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

শুক্রবার এফডিসিতে সম্মাননা স্মারক গ্রহণের এ অনুষ্ঠানে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় বাংলাদেশের সফলতার চিত্র তুলে ধরেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু রোগ মোকাবেলায় উন্নত দেশগুলোর চেয়ে বাংলাদেশের সক্ষমতা বেশি।

তাজুল ইসলাম বলেন, ম্যালেরিয়ায় পৃথিবীতে হাজার হাজার, কোটি কোটি মানুষ মারা গেছে। কলেরা নিয়েও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ধারণা ছিল না। ২০০০ সালে প্রথম আমাদের দেশে ডেঙ্গু ধরা পড়ার পর ডাক্তাররা নির্ণয় করতে পারছিলেন না। ফলে তখন সামান্য সংখ্যক লোক আক্রান্ত হওয়ার পরও ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার ছিল বেশি। সেই তুলনায় এখন মৃত্যুর হার কমে গেছে। কারণ চিকিৎসকরা জ্ঞান অর্জন করেছেন।

বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশের ‘ডেঙ্গু মোকাবেলার সক্ষমতা বেশি’ দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের একজন প্রতিনিধি আমাকে বলেছেন, ডেঙ্গু রোগ মোকাবেলার সক্ষমতায় উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশ এগিয়ে আছে। এর কারণ হিসেবে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে উল্লেখ করেছেন তিনি।

আর্থিকভাবে অসচ্ছল পরিবারের কোনো সদস্য ডেঙ্গুতে মারা গেলে তাদের মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে আর্থিকভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দেন এলজিআরডি মন্ত্রী।

ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ডেঙ্গু মোকাবেলায় এলজিআরডি মন্ত্রী সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। মেয়র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে নিয়ে অনেক কথা উঠলেও এলজিআরডি মন্ত্রীকে নিয়ে এ বিষয়ে কোনো বিরূপ মন্তব্য শোনা যায়নি। তিনি ডেঙ্গু মোকাবেলায় সর্বাত্মক চেষ্টা ও প্রশাসনিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। এ জন্য আমরা তাকে সম্মাননা জানিয়েছি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।