সুমন ভট্টাচার্য্যঃ সমাজে যে কোন অপরাধ সংগঠিত হলে প্রচার মাধ্যমে প্রায় ক্ষেত্রে দেখতে পায় তার প্রতিষ্ঠানের পরিচয়।অথচ যেখানে প্রতিষ্ঠানের পরিচয় গৌন, সেখানে মূখ্য পরিচয় বহন করে তার পরিবার। কেননা অপরাধীর সাথে পরিবারের নাম টি আইনগত ভাবে সংযোজিত। তাই সংগঠিত যে কোন ঘটনার দায়ে পরিচয়ের প্রচার মাধ্যমে শিরোনাম হওয়া প্রয়োজন তার পরিবার। এতে করে অপরাধী মনস্তাত্ত্বিক ভাবে অপরাধ সংগঠিত করার প্রবনতা নিরুৎসাহিত হতে পারে।এমন যৌক্তিক ও বাস্তবতা বিবেচনায় সে সময় অপরাধীর সামাজিক অবস্থান যা থাকুক, তার একমাত্র স্হায়ী অবস্থান পরিবার। এটিই ধ্রুব সত্যি। এ জন্য ভাল – মন্দ সব অবস্থায় পিতা, মাতা ও ঠিকানা কে বিবেচনা করা হয়। এমন বাস্তবতায় অপরাধী দের সংগঠনের নাম যদি প্রকাশ করতে হয়, সে সংগঠনের নাম হওয়া উচিত পরিবারের।তবে এ ক্ষেত্রে এর সাথে যোগ করা যেতে পারে, গৌষ্ঠিগত স্বজন দের নাম প্রচার করা টা বোধহয় যে কোন চরিত্রের জন্য যথার্থ সমর্থনের।আমার ব্যাক্তিগত মত একটি মানুষ পরিবারের উপর যে পরিমাণ দায়বদ্ধতার জায়গা কে গুরুত্ব দেয়, এর কাছাকাছি পর্যায়ে তুলনামূলক বিচারে অন্য গুলোর প্রতি নয়।এ দিক থেকে ২য় অবস্থান প্রচলিত শব্দ চয়ন রক্তের সম্পর্কিয় নিকট স্বজন।আমরা জানি পৃথিবীতে সবচাইতে বড় প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবার।

ইতিহাস বিশ্লেষনে প্রতিয়মান হয় ব্যাক্তিগত অপরাধের দায় শুধু মাত্র অপরাধীর।এ দায় কোন সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের হতে পারে না।তবে যে সকল সংগঠনের আর্দশিক অংশের সাংগঠনিক কাঠামো প্রচলিত আইন বিরুদ্ধ, সে সকল সংগঠন দায় এড়াতে পারে না,অনেক ক্ষেত্রে দেখি দায় স্বীকার করে ঐ সংগঠন গুলো একধরনের আত্মতৃপ্তি পায়। আজকের সময়ে

সমাজে যে সকল নৈতিক অবক্ষয়ের স্রোতধারা প্রবাহিত এর প্রধানতম কারন নিজেকে ক্ষমতাশালী প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এক বিকৃত অসম পাগলা ঘোড়া দৌড়।

প্রসঙ্গে আমার জানা মতে সব চাইতে (ব্যাক্তিগত চেতনা দৃষ্টি তে)পৈশাচিক ও বর্বরোচিত ঘটনা সতীদাহ প্রথা, যে প্রথা ঐ সমাজ হাজার বছর দেখে গেছে।আর আজকের আধুনিক তকমা সংবলিত সমাজ ব্যবস্হা দেখছে আধুনিক শ্রেণী বৈষম্য। এমন অতীতের একটি তে দেখেছে সমাজ, কাঠের জলন্ত আগুনে মৃত স্বামীর সাথে জীবন্ত তার সহধর্মিণী কে জ্বলতে ,বর্তমান শ্রেণী ব্যবস্হায় দেখছে সমাজ তুষের আগুনে জ্বলছে দারিদ্র্য তার সাথে পরিবার। সতীদাহ বা দারিদ্রতায় ভুক্তভোগী কোন সংগঠন নয় পরিবার কে ভুক্ত হয়েছে। কারন পৃথিবীর সবচাইতে বড় পাঠশালা পরিবার।যে পাঠশালায় একজন মানব সন্তান প্রাথমিক ভাবে শিক্ষা গ্রহনের মধ্যে দিয়ে গড়ে উঠে । সুতরাং এ পাঠশালার শিক্ষার্থী কোন অপরাধ সংগঠিত করে থেকে থাকে স্বাভাবিক ভাবে এর দায় আসে পরিবারের উপর।তাই যে কোন পযার্য়ের অপরাধীর অপরাধ গন মাধ্যমে প্রকাশে বা প্রচারে অপরাধীর দায় শিরোনাম হউক পরিবার।এতে পারিবারিক সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে,রোধ হতে পারে সামাজিক নৈতিক অবক্ষয়।

সকল অপরাধীর কঠিন শাস্তি দাবি করছি, শাস্তি দাবি করছি তার পরিবারের।

লেখক,সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি, বাংলাদেশ সনাতনী কল্যাণ সংঘ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।