আজ বিশ্ব মা দিবস। এদিন মাতৃ অন্তঃপ্রাণ সন্তানেরা ‘জননী আমার তুমি, পৃথিবী আমার, মধুর আমার মায়ের হাসি চাঁদের মুখে ঝরে’-এই কথাটুকু প্রমাণে সারা বিশ্বেই নানা আয়োজনে সন্তানরা উদযাপন করেন মা দিবস।

মা শব্দটি ছোট হলেও এর পরিধি বিশাল। যে ভাষায় তাকে সম্বোধন করা হোক না কেন, সর্বকালে সর্বক্ষেত্রে সৃষ্টির আদিলগ্ন থেকে দেশ ও কালের সীমানা অতিক্রম করেও মায়ের আত্মত্যাগের ভালবাসার রূপ অনেকটা অভিন্ন। মায়ের অনুগ্রহ ছাড়া কোন প্রাণীরই প্রাণধারণ করা অসম্ভব।

পরিবারে মা হচ্ছেন এক স্বর্গীয় বিস্ময়কর প্রতিষ্ঠান। মা প্রথম কথা বলা শেখান বলেই মায়ের ভাষা হয় মাতৃভাষা। মা হচ্ছেন মমতা-নিরাপত্তা-অস্তিত্ব, নিশ্চয়তা ও আশ্রয়। মা সন্তানের অভিভাবক, পরিচালক, দার্শনিক, শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও বড় বন্ধু।

মা দিবস, প্রচলন নিয়ে রয়েছে নানা গল্প, ইতিহাস। জুলিয়া ওয়ার্ড হোই রচিত ‘মাদার্স ডে প্রক্লামেশন’ প্রচেষ্টাগুলোর মধ্যে অন্যতম। আমেরিকান গৃহযুদ্ধ ও ফ্রাঙ্কো-প্রুশীয় যুদ্ধের নৃশংসতার বিরুদ্ধে ১৮৭০ সালে রচিত হোই-এর মা দিবসের ঘাষণাপত্রটি ছিল একটি শান্তিকামী প্রতিক্রিয়া। রাজনৈতিক স্তরে সমাজকে গঠন করার ক্ষেত্রে নারীর একটি দায়িত্ব আছে, হোই-এর এই নারীবাদী বিশ্বাস ঘোষণাপত্রটির মধ্যে নিহিত ছিল।

১৯১২ সালে আনা জার্ভিস স্থাপন করেন মাদারস ডে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোশিয়েশন (আন্তর্জাতিক মা দিবস সমিতি) এবং মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার মা দিবস-এর বহুল প্রচার করেন। পরে মা দিবসটি সর্বজনীন করে তোলার লক্ষ্যে এগিয়ে আসেন জুলিয়া ওয়ার্ড নামের এক আমেরিকান।

১৯১৪ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন দিবসটিকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেন। এরপর মা দিবস পালনের রেওয়াজ ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর সব দেশে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।