আত্মহত্যা চেষ্টার পর এবার স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ছাত্রলীগ নেত্রী জারিন দিয়া। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।

বুধবার (২২ মে) দুপুর ২টায় স্ট্রোকে আক্রান্তের পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ছাত্রলীগের গত কমিটির সমাজসেবা সম্পাদক রানা হামিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, জারিন দিয়ার অবস্থা খুবই খারাপ। দুপুর ২টায় স্ট্রোক করার পর তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার (২১ মে) তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তখন তাকে ল্যাব এইডে নেয়ার হয়।

এরপর ডাক্তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়ে বলেন, আত্মহত্যার চেষ্টার পর সবারই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়। এটা দুইদিন আগে পরে যেকোনো সময় হতে পারে। ওয়াশ করে ঘুমের ওষুধ বের করা হলেও এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়ে গেছে। পরে সেখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে একটু সুস্থ হলে তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।

‘কিন্তু এখন তার অবস্থা ক্রিটিক্যাল। ডাক্তার বলেছেন, তার অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। তাকে দুইদিন হাসপাতালে রাখার কথা বলা হয়েছে। দুইদিন গেলেই সব বলা যাবে।’

মধুর ক্যান্টিনে সংগঠিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার দায়ে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার হওয়ায় পর গত ২০ মে সোমবার রাতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ছাত্রলীগ নেত্রী জারিন দিয়া। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার দুপুরে তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এর আগে ছাত্রলীগ সভাপতি রেওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর প্রতি কিছু প্রশ্ন রেখে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

নতুন কমিটিতে পদ না পাওয়ার এবং তারপরের কিছু ঘটনা উল্লেখ করে নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে জারিন দিয়া লিখেছিলেন, ‘আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। জানি না কী করবো। আমি যদি মারা যাই শোভন-রাব্বানী ভাইদের কাছ থেকে প্রশ্নগুলির উত্তর নিয়ে আমাকে কলঙ্কমুক্ত করবেন পারলে।’

গত ১৩ মে সোমবার সন্ধ্যায় মধুর ক্যান্টিনে মারামারির ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে ২০ মে সোমবার তাকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ।

ওই ঘটনায় তিনি নিজেও আহত হয়েছিলেন। ‘ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধুর ক্যান্টিন ভর্তি মেয়ে লাগে’ উল্লেখ করে ফেসবুকে তার দেয়া একটি স্ট্যাটাস সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে তিনি ওই স্ট্যোটাস দেয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।