নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা; আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এখন জনগণের অসচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় পরিস্থিতি অবনতি হলে সরকার আরও কঠোর হবে।ঠেলাঠেলি, বাড়তি যাত্রী, স্বাস্থ্যবিধি না মানা দেশকে আরও সংকটে নিমজ্জিত করতে পারে। তবে পরিস্থিতির যদি আরও অবনতি হয়, তাহলে জনস্বার্থে সরকার আবারও কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে।

  • আজ সোমবার (০১ জুন ২০২০) জাতীয় সংসদ ভবনের নিজের সরকারি বাসভবন থেকে সেতু বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় কাদের আরও বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা উদ্বেগজনক পর্যায়ে থাকলেও লকডাউন শিথিল করছে। কোথাও কোথাও তুলেও নিয়েছে। জীবনের পাশাপাশি জীবিকা দীর্ঘমেয়াদে বন্ধ থাকলে জীবনের গতিপথে থেমে আসবে স্তব্ধতা।

  • এছাড়া অর্থনীতিও হয়ে পড়বে স্থবির। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান বেছে নিতে হবে।

গণপরিবহন চালু ও ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী না হতে সাধারণ মানুষকে অনুরোধ জানাচ্ছি। এ ছাড়া পরিবহনমালিক ও শ্রমিকদের মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপনের অনুরোধ করেছেন।

  • কাদের বলেন, অর্ধেক আসন খালি রেখে গাড়ি চালনায় সরকার ভাড়া সমন্বয় করেছে। করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন খালি রেখে গাড়ি চালানো শুরু হয়েছে। সরকার বাস্তবতার প্রয়োজনে ভাড়া সমন্বয় করেছে এবং আজ থেকে শর্ত সাপেক্ষে গণপরিবহন চলছে। আমি মালিকদের স্বাস্থ্যবিধি ও শর্ত মেনে গাড়ি চালানোয় অনুরোধ করছি।

পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ ভিজিল্যান্স টিম, মোবাইল কোর্টসহ টার্মিনাল কর্তৃপক্ষকে অর্ধেক আসন খালি রাখা ও বর্ধিত ৬০ শতাংশ ভাড়া ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং মাস্ক পরার বিষয় তদারকি করার আহ্বান জানাচ্ছি।

এদিকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের সর্বশেষ (০১ জুন ২০২০) তথ্য অনুযায়ী, দেশে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট ৬৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ২ হাজার ৩৮১ জন । এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৯ হাজার ৪৭ হাজার ৫৩৪  জনে। দেশে ৫২টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ১০৪টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ হাজার ৪৩৯টি। আক্রান্তের হার ২০.৮১ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮১৬ জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১০ হাজার ৫৯৭ জন। সুস্থতার হার ২১.৩৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১.৩৬ শতাংশ। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানানো হয়, পুরুষ ১৯ জন ও নারী তিনজন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের আটজন, সিলেট বিভাগের দুইজন ও বরিশাল বিভাগের একজন। বয়স বিশ্লেষণে জানা যায়, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন ৪১-৫০ আটজন, ৫১-৬০ চারজন, ৬১-৭০ সাতজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ১৬ জন, বাড়িতে পাঁচজন ও হাসপাতালে আনার পথে একজন।

আমাদের বাণী ডট কম/০১  মে ২০২০/সিসিপি 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।