রাজশাহীতে যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া পলাতক এক আসামির পরিবর্তে গ্রেফতার হয়ে জেল খাটছেন তারই ছোট ভাই। গত ৩০ এপ্রিল পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, নগরীর বোয়ালিয়া থানার ছোট বনগ্রাম পশ্চিমপাড়ার তোফাজ উদ্দিনের ছেলে ফজল মিয়ার পরিবর্তে তার ছোট ভাই সজল মিয়াকে গত ৩০ এপ্রিল গ্রেফতার করা হয়। এর পর থেকে তিনি কারাগারে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০০১ সালের ২০ মে দায়ের করা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা হয় সজল মিয়ার বড় ভাই ফজল মিয়ার।

সজল মিয়ার আইনজীবী মোহন কুমার সাহা জানান, অপরাধী না হয়েও সজল সাজা ভোগ করছেন। বিষয়টি জানিয়ে সজলকে দায় থেকে অব্যাহতি দিতে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে। গত ২৬ মে বিষয়বস্তু তুলে ধরে আবেদন দাখিল করলে আদালতের বিচারক ১১ জুন আসামিকে আদালতে হাজির করে শুনানির দিন ধার্য করেন। সম্পূর্ণ ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ফজল মনে করে ছোট ভাই সজলকে পুলিশ গ্রেফতার দেখায় বলে তিনি দাবি করেন।

তিনি বলেন, এ মামলায় আসামি ছিল সজল মিয়ার বড় ভাই ফজল মিয়াসহ পাঁচজন। আসামি ফজল জামিন পাওয়ার পর থেকেই পলাতক। ২০০৯ সালের ২৮ আগস্ট ফজলকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৬(১) ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, আনাদায়ে আরও ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে অপর চার আসামিকে খালাস দেন আদালত।

কিন্তু রায় ঘোষণার দীর্ঘ ১০ বছর পর গত ৩০ এপ্রিল রাতে শাহমখদুম থানা পুলিশ পলাতক আসামি ফজল হিসেবে গ্রেফতার করে সজল মিয়াকে। আদালতে পুলিশ ফরোয়ার্ডিংয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, সজল মিয়াই মামলার পলাতক আসামি ফজল মিয়া।

শাহমখদুম থানার ওসি এসএম মাসুদ পারভেজ বলেন, তাকে গ্রেফতারের পর মামলার সাক্ষী ও স্থানীয়রা তাকে ফজল মিয়া বলে শনাক্ত করে। সে অনুযায়ী যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে ফরোয়ার্ডিং দিয়ে ফজলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। সে যে সজল- এ ধরনের কোনো তথ্য পুলিশের কাছে নেই

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।