জিকরুল হক, উত্তরাঞ্চল সংবাদদাতা; এবার কোরবানির চামড়ার বাজারে কল্পনাতীত ধ্বস নেমেছে। আকার ভেদে ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে ত্রিশ টাকা থেকে পন্চাশ টাকায়।গরুর চামড়া একশ পন্চাশ টাকা হতে সর্বচ্চো তিনশ টাকায় বেচা কেনা হয়েছে। এ জন্য উত্তরাঞ্চলের মানুষ গরু ও ছাগলের চামড়াকে খাদ্য তালিকায় যুক্ত করার কথা ভাবছে।তাদের কথা হাস,মুরগীর চামড়া মানুষ খায়।

গরু ও ছাগলের ভুড়ি খায়। এমনকি গরু ও ছাগলের পা রান্না করে নেহারি খাওয়া হয়। এই পায়ের সংগে চামড়া থাকে। সেটিও আমরা রান্না করে খাই।অবশ্য গরু, ছাগলের পা নেহারি হিসাবে খাওয়া হয়।তাহলে খাদ্য তালিকায় গরু ও ছাগলের চামড়া যুক্ত করতে অসুবিধা কোথায়।তাছাড়াও চামড়ায় আছে অত্যন্ত প্রটিন। যা মানুষের শরীরের জন্য উপযোগী।এক সময় পাট, চা ও চামড়া দেশের রপ্তানির তালিকায় ছিল শীর্ষস্থানে। কিন্তু কালের চক্রযানে বিভিন্ন তন্তু আবিস্কারের মধ্য দিয়ে পাট রপ্তানি তালিকা থেকে শুন্যের কোটায় নেমেছে।অথচ পাট বর্তমানেও পরিবেশ বান্ধব ও যুগোপোযোগি।চামড়াও রপ্তানি তালিকা থেকে বাদ পড়তে যাচ্ছে। কিন্তু চামড়ার ব্যবহার রয়েছে বিশ্বব্যাপি।এমন অবস্থা বিরাজ করলে আগামি দিনে চা শিল্প কোথায় ঠেকবে তা ভবিষ্যৎ বলে দিবে।তবে বিশিষ্ট জনদের কথা পাট ও চামড়া শিল্প বিদেশি বহুজাতিক কোণ্পানি বা পাশের কোন দেশের হাতে তুলে দিতেই এমন ষড়যন্ত্র চলছে।

বছরের এগার মাসে যত চামড়া মিলে সেই পরিমান চামড়া কোরবানি ঈদে পাওয়া যায়। এসব কোরবানির চামড়ার টাকায় ধর্মীয় প্রতিষ্টান চলে। কিন্তু বাজারে চামড়ার দাম না মেলায় ওইসব ধর্মীয় প্রতিষ্টান আর্থিক ভাবে চরম ক্ষতির শিকার হয়েছে। বহু জাতিক কোম্পানির এক লিটার পানি বিক্রি হয় পন্চাশ টাকার বেশি। কিন্তু চামড়া বিক্রি হয় ত্রিশ থেকে চল্লিশ টাকায়। এটি ছাগলের চামড়ার হিসাব। গরুর চামড়া এ ঈদে বিক্রি হয়েছে একশ পন্চাশ থেকে তিনশ টাকা দরে।অথচ চামড়াজাত পন্যের দাম প্রতি বছর বাড়ছে। গত দশ বছর আগেও গরু ভেদে চামড়া বিক্রি হয়েছে পনেরশ টাকা থেকে তিনহাজার টাকা পর্যন্ত। কিন্তু চামড়ার বাজার পড়ে গেলেও চামড়া জাত পন্যের দাম বেড়েছে দশ গুন।

কথা হয় সিনিয়র প্রভাষক শওকত হায়াৎ শাহর সংগে। তিনি বলেন নেহারির সংগে আরা গরু ও ছাগলের চামড়া খাই। তাহলে এই চামড়া খেতে অসুবিধা কোথায়। একই বিষয়ে জানতে কথা হয় সিনিয়র সাংবাদিক নজরুল ইসলামের সংগে। তিনি বলেন হাস মুরগীর চামড়া খাওয়া গেলে গরু ও ছাগলের যাবে না কেন।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটির কেন্দ্রীয় সদস্য রুহুল আলম মাষ্টার,  বলেন চামড়ার বাজার দেখে বিকল্প বের করতে হবে। বিদেশে চামড়া রপ্তানি না হলে তা খাদ্য তালিকায় যুক্ত করে সদগতি করতে হবে।

চামড়ার খাদ্যমান বিষয়ে জানতে কথা হয় মিশন জেনারেল হাসপাতাল ও পপুলার ল্যাবের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাক্তার দেলোয়ার হোসেনের সংগে। তিনি বলেন, চামড়ার পুষ্টিমান অত্যন্ত বেশি। সঠিক প্রক্রিয়ায় রান্না করতে পারলে মানব শরীরে অনেক ফলদায়ক হবে।

আমাদের বাণী ডট কম/০৩ আগস্ট ২০২০/পিপিএম

বিজ্ঞাপন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।