নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা;  এই দুর্যোগের মধ্যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কল-কারখানা, এনজিও বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে কর্মী ছাঁটাই না করে ‘মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপনের’ আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ বৃহস্পতিবার  (২৫ জুন ২০২০) দুপুরে সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি।

  • তিনি বলেন, ‌আসুন ১৯৭১ সালে আমরা যেমন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লক্ষ্য অর্জন করেছি, এ সঙ্কটেও পারস্পরিক সহমর্মিতা, ত্যাগ আর সরকারি নির্দেশনা প্রতিপালনের মাধ্যমে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনাভাইরাসের আঁধার থেকে আলোকে উত্তরণের পথে এগিয়ে যাই।

মহামারীর এই সময়ে নানা দিকে হতাশার মধ্যেও অর্থনীতির কিছু সূচকে আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

  • করোনাভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট ছাড়া অনেক হাসপাতাল সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা না দেওয়ায় এর কঠোর সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেন, কোনো কোনো হাসপাতাল রোগী ভর্তির না করার নানা ছল-চাতুরীর আশ্রয় নিচ্ছে, এ মুহূর্তে এটা সমীচীন নয়।

করোনাভাইরাস পরীক্ষার ক্ষেত্রেও অনেক রোগীর ভোগান্তির বিষয়টি তুলে ধরে কাদের বলেন, কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান স্মার্ট এবং দ্রুত সেবা দিলেও কারো কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। একদিকে টেস্টের সিরিয়াল পেতে সময় লাগছে, অপরদিকে নমুনা দেওয়ার পর রেজাল্ট পেতে লাগছে কয়েক দিন। অহেতুক এ সময় ক্ষেপণে রোগী ও আত্মীয়স্বজন যেমন উদ্বিগ্ন থাকছে, তেমনই মনোবল হারানোর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। অনেকে মৃত্যুর মুখে পতিত হচ্ছে।

  • করোনাভাইরাস পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত সব প্রতিষ্ঠানকে নমুনা সংগ্রহে সমন্বয় বাড়ানোর পাশাপাশি স্বল্প সময়ে রিপোর্ট দেওয়ার এবং সেবার মান বাড়ানোর আহ্বান জানান সেতুমন্ত্রী।

এদিকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের সর্বশেষ (২৫ জুন ২০২০) তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৯ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। ফলে ভাইরাসটিতে মোট ৬১৬২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৪৬ জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ২৬ হাজার ৫৫৩ ।  গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৭ হাজার ৯৯৯টি। শনাক্তের হার ২১.৯২ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮২৯ জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৫১ হাজার ৪৯৫ জন। সুস্থতার হার ৪০.৬৭% এবং মৃত্যুর হার ১.২৮ শতাংশ। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানানো হয়, পুরুষ ৩২ জন ও নারী ৭ জন। বয়স বিশ্লেষণে জানা যায়, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৩১-৪০ একজন, ৪১-৫০ সাতজন, ৫১-৬০ ৯ জন, ৬১-৭০ ১২ জন এবং ৭১-৮০ সাতজন এবং ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ২৮ জন এবং বাড়িতে ১১ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ৬৪৫ জনকে। আইসোলেশন থেকে ছাড় দেয়া হয়েছে ৩৭৪ জনকে।

আমাদের বাণী ডট কম/২৫ জুন ২০২০/পিপিএম

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।