কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী শূন্য থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিদ্যালয় দুটো হলো ১০১ নং চরপাকুন্দিয়া পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১০২ নং চরপাকুন্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

আজ সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাহিদ হাসান আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়ে ওই দুটি বিদ্যালয়ের এমন চিত্র দেখতে পান বলে জানা গেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাহিদ হাসান জানান, সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তিনি প্রথমে ১০১ নং চরপাকুন্দিয়া পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে দেখতে পান কোনো শিক্ষক ও শিক্ষার্থী নেই। শূন্য বিদ্যালয়। পরে ১০টার দিকে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমানকে মুঠোফোনে বিদ্যালয়ে আসতে বললে তিনি সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নূরে আলম সিদ্দিকী ও আসাদুজ্জামানকে সঙ্গে নিয়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন।

বিদ্যালয়ের এমন চিত্র দেখতে পেয়ে বিদ্যালয়ের পাশের বাড়ির সহকারী শিক্ষক মো. ইনতাজ উদ্দিনকে খবর দিলে তিনি বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন। ইনতাজ উদ্দিন মুঠোফোনে অপর শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে আসতে বললে কিছুক্ষণ পর তারা বিদ্যালয়ে এসে উপস্থিত হন। পরে ৪-৫ জন শিক্ষার্থীও বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়।

তারা কোন বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে জানতে চাইলে শিক্ষার্থীরা জানায়, পৌর আইডিয়াল স্কুলে তারা পড়াশোনা করে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.নাহিদ হাসান পার্শ্ববর্তী ১০২ নং চরপাকুন্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে দেখতে পান চারজন শিক্ষকের মধ্যে তিনজন শিক্ষক উপস্থিত। পাশের কক্ষে ৪-৫ জন শিক্ষার্থী বসে আছে।

এ ব্যাপারে কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাহিদ হাসান জানান, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা ও বেতনভাতা স্থগিতসহ সাময়িক বরখাস্ত করার জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, তাদের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।