কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ; স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঘোষিত রেড জোনের অধীন করোনার হটস্পট কিশোরগঞ্জ জেলায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সোশ্যাল ট্রান্সমিশন ভয়াবহ রূপ ধারণ করায় পরিস্থিতির এমন অবনতি ঘটছে।

  • গত ১৩ জুন জেলায় সংগৃহীত ২৪৪ জনের নমুনা মহাখালীর ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ (আইপিএইচ) থেকে পরীক্ষা করে ৫৭ জনের করোনা শনাক্ত এবং ১৪, ১৫ (অংশিক) ১৬, ১৭ (অংশিক) জুন জেলায় সংগৃহীত ২১২ জনের নমুনা শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করে ৩৪ জনের শনাক্ত হয়।

এ দু’টি ল্যাবে মোট ৪৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে ৯১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত মোট ১২২০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে।

  • শনিবার নতুন করে করোনা সংক্রমণ শনাক্তের এ তালিকায় জেলার সদর উপজেলায় ২২ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ৩ জন, তাড়াইল উপজেলায় ২ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলায় ১ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ৫ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ৬ জন, ভৈরব উপজেলায় ৩৬ জন, নিকলী উপজেলায় ১ জন ও বাজিতপুর উপজেলায় ১৩ জন, ইটনা উপজেলায় ১ জন ও মিঠামইন উপজেলায় ১ জন রয়েছেন।

এ নিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত মোট ১২২০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ও কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান শনিবার দিবাগত রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

  • এ সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত কিশোরগঞ্জ জেলার উপজেলা ভিত্তিক এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে, সদর উপজেলার ২২৭ জন, ভৈরব উপজেলায় ৪৬০ জন, হোসেনপুর উপজেলার ২৫ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ৮০ জন, তাড়াইল উপজেলায় ৬৮ জন, পাকুন্দিয়ায় উপজেলায় ৫২ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ৬৬ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ৮৬ জন, নিকলী উপজেলায় ১৮ জন, বাজিতপুর উপজেলায় ৭৭ জন, ইটনা উপজেলায় ২৫ জন, মিঠামইন উপজেলায় ২৮ জন, ও অষ্টগ্রাম উপজেলায় ৮ জন।

সূত্র মতে, আক্রান্তদের মধ্যে ৪১৮ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছেন। বাকিরা আইসোলেশন কিংবা হোম কোয়ারেন্টিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ছাড়া এ পর্যন্ত করোনা সংক্রমণের শিকার হয়ে এ জেলায় এক শিশুসহ ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের সর্বশেষ (২১   জুন ২০২০) তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৯ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। ফলে ভাইরাসটিতে মোট ১৪৬৪  জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৫৩১ জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ১২  হাজার ৩০৬ জনে। আজ নমুনা পরীক্ষা হয়েছে মাত্র ১৫৫৮৫ টি যা গতদিনে ছিল ১৪০৩১ ।দেশজুড়ে ৬০টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে বুলেটিনে বলা হয়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫ হাজার ৭১০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৫ হাজার ৫৮৫টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ছয় লাখ ১২ হাজার ১৬৪টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ৫৩১ জনের মধ্যে। ফলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ১২ হাজার ৩০৬ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৩৯ জন। এ নিয়ে মোট মারা গেলেন এক হাজার ৪৬৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৮৪ জন। সব মিলিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা এখন ৪৫ হাজার ৭৭ জন।

আমাদের বাণী ডট কম/২১  জুন ২০২০/পিপিএম 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।