ঘূর্নিঝড় ফনির প্রভাবে একজন নিহত এবং সম্পুর্ণভাবে ৪৬টি ও আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে বিদ্যালয়সহ প্রায় ৪৫০ টি কাচাপাকা ঘর। এছাড়া পূর্বের বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ দিয়ে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হয়ে সাতটি গ্রামের অন্তত তিন হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পরেছে।

এক নজরে কলাপাড়ায় ঘূর্নিঝড় ফনি’র তাণ্ডব

ঘূর্নিঝড় ফনির প্রভাবে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পায়রা বন্দর ও কুয়াকাটাসহ গোটা উপকূলীয় এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ঝড়ো হাওয়ায় বিপুল সংখ্যক গাছ পালা ভেঙ্গে গেছে।

জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে ঝড়ের সময় গাছের ডাল পড়ে গুরুতর জখম উপজেলার পশ্চিম খাজুরা এলাকার হাবিব (৩৭) নামের এক যুবক। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকিল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। শুক্রবার মধ্যরাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাবিব মারা যায়। তাকে কুয়াকাটা পৌর এলাকায় দাফনের প্রস্তুতি চলছে।

উপজেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির দেয়া তথ্যমতে ১৫৫ টি আশ্রয় কেন্দ্রে অন্তত ২৫ হাজার ২০৩ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া আনুমানিক আরও প্রায় ৩০ হাজার মানুষ কুয়াকাটার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলসহ বিভিন্ন নিরাপদ স্থাপনায় আশ্রয় নিয়েছিল।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র্র দেবনাথ জানান, তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলার ক্ষতিগ্রস্থ দেড় হাজার পরিবারের জন্য ১৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বাকিদেরকেও চাল বিতরণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছে।

তবে ঘূর্নিঝড় ফনি মোকাবেলায় কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি ছিল প্রশংসনীয়। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে ভোর রাত পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের একটি টিম অধিকাংশ আশ্রয় কেন্দ্র্র পরিদর্শন করে আশ্রিতদের শুকনো খাবারসহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট ছিলেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।