জন্ম থেকে দুটি হাত, ডান পা নেই তামান্না আক্তারের। একটিমাত্র পা দিয়ে লিখেই এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে যশোরের ঝিকরগাছার সংগ্রামী এ কিশোরী।

তামান্না উপজেলার পানিসারা গ্রামের রওশন আলী-খাদিজা পারভীন দম্পতির মেয়ে। সোমবার দুপুরে ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর আনন্দের বন্যা বইতে শুরু করে তার বাড়িতে। সে পিইসি-জেএসসিতেও জিপিএ-৫ পেয়েছিল।

তামান্নার মা খাদিজা পারভীন বলেন, ২০০৩ সালের ১২ ডিসেম্বর তামান্নার জন্ম। ওকে কারও বোঝা হতে দেইনি। ছয় বছর বয়স থেকেই ওর পায়ে কাঠি, কলম দিয়ে লেখা শেখাই। এরপর বাঁকড়া আজমাইন এডাস স্কুলে ভর্তি করাই। দুই মাসের মধ্যেই তামান্না পা দিয়ে লিখতে শুরু করে। এরপর ধীরে ধীরে ছবি আঁকতে শুরু করে।

তামান্নার বাবা রওশন আলী বলেন, জন্মের পর থেকেই নানা প্রতিকূলতার মোকাবিলা করতে হয়েছে তামান্নাকে। তারপরও হাল ছাড়েনি মেয়েটা। আমরা প্রতিদিন ওকে হুইলচেয়ারে বসিয়ে স্কুলে আনা-নেয়া করতাম। তবে ওর সাফল্যে আমাদের সব কষ্ট মুছে গেছে।

বাঁকড়া জনাব আলী খান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দীন বলেন, তামান্না আমাদের গর্ব। সে অন্য প্রতিবন্ধীদের আদর্শ হতে পারে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।