ঈদের ফিতরের আগে বেতন বোনাস শিক্ষকরা ওঠাতে পারবে কি না সেটা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, মে মাসের এমপিওতে অনেক নতুন নতুন শিক্ষক এমপিওভুক্ত হয়েছেন। এর ফলে এমপিওভুক্তের কপি না পেয়ে বিল প্রস্তুত করা সম্ভব নয়।

এ ব্যাপারে শিক্ষক নেতা নজরুল ইসলাম রনি তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। পাঠকদের জন্য তা হুবুহু তুলে ধরা হল-

‘ঈদের আগে বেতন ও ঈদ বোনাস শিক্ষক সমাজ ওঠাতে পারবেনা। এর কারণ মে মাসের এমপিও’তে অনেক নতুন নতুন শিক্ষক এমপিওভুক্ত হয়েছেন। এমপিওভুক্তের কপি না পেয়ে বিল প্রস্তুত করা সম্ভব নয়। আর এমপিও’র কপি হয়তো পাওয়া যাবে ৩ জুন।

পরের দিন ব্যাংক বন্ধ। বিল প্রস্তুত করে শিক্ষকদের স্বাক্ষর এবং সব শেষে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির স্বাক্ষর। এর পর ব্যাংকে জমা। প্রত্যেক শিক্ষকের একাউন্ট্ এ posting সময়ের ব্যাপার। এমনি করে ঈদ এসে যাবে। হায়রে কপাল।’

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীদের মে-২০১৯ মাসের এমপিওর (বেতন-ভাতার সরকারি অংশ) চেক ছাড় হয়েছে। অনুদান বণ্টনকারী রাষ্ট্রায়াত্ত চারটি ব্যাংকে এই চেক পাঠানো হয়েছে। শিক্ষকরা আগামী ৩ জুন পর্যন্ত বেতন-ভাতার সরকারি অংশের টাকা তুলতে পারবেন।

অন্যদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন এমপিওভুক্ত স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের ২০১৯ সালের ঈদুল ফিতরের উৎসব ভাতার চেকও ছাড় হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) অনুদান বণ্টনকারী চারটি ব্যাংকে চেক পাঠানো হয়েছে। আগামী ৩ জুন পর্যন্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা ঈদ বোনাসের টাকা তুলতে পারবেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।