যোগ্য বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরে এমপিওভুক্ত না হওয়ায় অস্থিরতা রয়েছে শিক্ষক-কর্মচারী সমাজে। দফায় দফায় আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন তারা। অবশেষে ৯ বছরের মাথায় ঈদের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির প্রজ্ঞাপন হতে যাচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠান যাচাই-বাছাই করে এমপিওভুক্তির জন্য সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হয়েছে।’

২০১০ সালে সর্বশেষ ১ হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করেছিল সরকার। এরপর থেকে এ কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে অসন্তোষ; অনশনসহ নানা কর্মসূচি পালনও করেছেন তারা। এরপর একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি করে এমপিওভুক্তির কার্যক্রম শুরু হলেও এখনো তা চূড়ান্ত হয়নি। এজন্য প্রহর গুনছেন দেশের প্রায় ছয় হাজার নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৮৫ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী।

বর্তমানে সারা দেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৭ হাজার ৮১০টি। অন্যদিকে অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে ৫ হাজার ২৪২টি। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা ৮০ হাজার। অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতির বাইরেও আরও দুই হাজার নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঈদের আগেই এমপিওভুক্ত চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। কিন্তু সেটা সম্ভব না-ও হতে পারে। তবে ঘোষণা যখনই হোক না কেন আগামী জুলাই মাস থেকেই শিক্ষক-কর্মচারীরা এমপিওভুক্তির সুবিধা পাবেন। তবে কত সংখ্যক প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হবে তা আগামী অর্থবছরের জন্য বরাদ্দের ওপর নির্ভর করছে।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণা কবে নাগাদ আসতে পারে- এ প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘মন্ত্রণালয় কাজ করছে। খুব শিগগিরই ঘোষণা করা হবে। তবে ঘোষণা যখনই হোক জুলাই মাসে কার্যকর হবে এটা।’

নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এমপিওভুক্তি বন্ধ থাকায় অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে বিনা বেতনে চাকরি করছেন। অনেকের চাকরির বয়স শেষের পথে। আমরা চাই, সকল প্রতিষ্ঠানকে একসঙ্গে এমপিওভুক্তি করা হোক।’

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।