এমপিও করানোর খরচ বাণিজ্যের শিকার হচ্ছেন চাঁদপুর জেলার শত শত শিক্ষক। কপিতয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং ম্যানেজিং কমিটির কিছু অসাধু লোক মিলে ‘এমপিও করানোর খরচ’ নামে শিক্ষকদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা আদায় করছেন। জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা, ক্ষেত্র বিশেষে এর চেয়েও বেশি আদায় করা হচ্ছে। এনটিআরসিএর মাধ্যমে সুপারিশ পেযে নিয়োগপ্রাপ্ত এসব শিক্ষকরা বাধ্য হয়ে টাকা দিচ্ছেন তাদের এমপিওভুক্তির জন্য।

জানা যায়, চাঁদপুর সদরের পশ্চিম সকদী জনতা হাইস্কুলে সম্প্রতি তিনজন শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিজন শিক্ষকের কাছ থেকে এমপিও করাতে খরচ বাবদ ৩০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন স্কুলটির একজন প্রভাবশালী শিক্ষক। এমপিও করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দিতে হয় এসব খরচ বলে দাবি তার। সারোয়ার সাজ্জাদ নামে এক সহকারী শিক্ষকের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নেয়ার পরও তার এমপিওভুক্তি না হওয়ায় বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন খোকন পাটোয়ারী এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

এ বিষয়ে কথা হয় চাঁদপুর জেলা শিক্ষা অফিসার মো. শফি উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি জানান, চাঁদপুর জেলায় প্রায় সাড়ে তিনশ’র মতো শিক্ষক এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে নিয়োগ হয়েছে। তাদের অনেকেই নিয়োগকৃত প্রতিষ্ঠানে ইতোমধ্যে যোগদান করেছেন, এমপিও হয়ে গেছে, আবার কারও কারও প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় আছে।

এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে যে শিক্ষকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেয়া হচ্ছে সে বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে একটি টাকাও কোনো শিক্ষকের কাছ থেকে নেয়া যাবে না। এমপিও করাতে খরচ, প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ইত্যাদি নানা অজুহাতে কোনো টাকা নেয়া যাবে না। এ ধরনের সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে সে প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় নেই। অবৈধ বাণিজ্যের সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হবে বলে তিনি হুঁশিয়ার করে দেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।